কাশ্মিরকে দমন করতে দিল্লির ৪ পদক্ষেপ

কাশ্মিরকে দমন করতে দিল্লির ৪ পদক্ষেপ

ছবি সংগৃহিত।

কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ভারত-অধিকৃত গোটা জম্মু-কাশ্মীর । কারফিউয়ের সঙ্গে পরিস্থিতি বিচার করে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ মাধ্যম। উপত্যকা ঘিরে নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় তার জন্য চলতি মাসের শুরু থেকে সজাগ প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীরের মূল দুটি রাজনৈতিক দলের প্রধানকে আটক করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আগামীতেও যাতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা হাতের বাইরে না যায় তার জন্য বিশেষ কৌশলী পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করেছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।

সূত্রের খবর, যা চারটি স্তরে কার্যকর হবে। প্রথম স্তরে থাকবেন খেতাবপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা। যাদের বলা হচ্ছে ‘মুভার্স অ্যান্ড শেকার্স' । এই দলের সদস্যরা সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বুদ্ধিজীবীদের সব সমাবেশে উপস্থিত থাকবে। যাবে, রাজনৈতিক দলগুলোর নানা অনুষ্ঠানে। দেখবে, জমায়েত থেকে কারা নীরবে উত্তেজনায় মদত দিচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রশাসন অভিযুক্তদের আটক করতে পারে। এমনকি গৃহবন্দি করেও রাখতে পারবে। 
 কাশ্মিরকে দমন করতে ভারত সরকারের দ্বিতীয় পদক্ষেপ হবে, কাশ্মীরী যুবক যারা প্ররোচিত হয়ে পাথর ছোঁড়ে তাদের আটকানো। এক্ষেত্রে কমিউনিটি বন্ডের চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। ২০টি পরিবারের থেকে মুচলেকা নেয়া হবে এই মর্মে যে, তাদের পরিবারের যুবকরা পাথর ছোঁড়ার মতো কার্যকলাপে জড়িত থাকবে না।

দিল্লি অভিযোগ করে আসছে যে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে প্রায়ই সন্ত্রাসীদের ভারতে অনুপ্রবেশ করায়। কাশ্মীরকে শান্ত রাখতে কথিত এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে চায় দিল্লি। এক্ষেত্রে সীমান্ত সুরক্ষা পর্যালোচনা করা হবে। সীমান্তে সেনাবাহিনী আনো সতর্ক থাকবে। পাঞ্জাব ও জম্মুর সীমান্তের নিরাপত্তাও কড়া করা হবে। প্রশাসন ধর্মীয় প্রধানদের কার্যকলাপে নজর রাখবে। অনেক সময়, তাদের মাধ্যমেও সহিংসতা ছড়াতে পরে। ফলে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার খুবই কড়া মনোভাব নিচ্ছে ও প্রমাণ মিললেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।

দুসপ্তাহের বেশি সময় ধরে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে প্রশাসন। প্রথমে, পর্যটক ও অমরনাথ যাত্রীদের উপত্যকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তারপর, রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে আটক করা হয়। কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ৪০০ কর্মী বর্তমানে জেলে। শনিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কাছে ল্যান্ডলাইন পরিষেবা খুলে দেয়া হয়েছে। রাজ্যর অনেক জায়গায় জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা শিথিত করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর নজর রয়েছে সবসময়।