ফেনীতে ধর্ষণ বিরোধী লং মার্চে হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ২০

ফেনীতে ধর্ষণ বিরোধী লং মার্চে হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ২০

ছবি:সংগৃহীত

‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ এই ব্যানারে নয় দফা দাবিতে ফেনীতে লংমার্চ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। শনিবার সকাল ১০টায় ওই লংমার্চ সমাবেশে সংঘটিত হামলায় তিন সাংবাদিকসহ ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশটি শুরু হয়। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের ফেনী জেলা সংগঠক সালমা আক্তার কলির সভাপতিত্বে ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ফেনী শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক পংকজনাথ সূর্য সঞ্চালনা করেন। সমাবেশে লং মার্চকারীরা ট্রাংক রোডের দোয়েল চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবি সংবলিত ফেস্টুনে ধর্ষণের প্রতিকি চিহ্ন ব্যবহার করে ধর্ষণ বিরোধী স্লোগান লেখেন।

সমাবেশ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে যাওয়ার উদ্দেশে তারা লং মার্চ নিয়ে রওয়ানা হলে শহরের মিশন হাসপাতালের সামনে থেকে দূর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। আদালতপাড়া সংলগ্ন নির্মাণ সুপার মার্কেটের সামনে পৌঁছলে দ্বিতীয় দফা হামলা করা হয়। এতে একাত্তর টিভির প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলু, ক্যামেরাম্যান সাজু, হকার্স প্রতিনিধি ইয়াছিন আরাফাত রুবেল ছাড়াও লং মার্চ কর্মী আসমানী আশা, রিপা মজুমদার, হৃদয়সহ অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা অভিযোগ করেন, লং মার্চ সহ্য করতে না পেরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর ও ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে তার দাবি।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল জানান, লং মার্চকারীরা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ছবিতে ‘ধর্ষকদের পাহারাদার’ লেখায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিহত করেছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন করার পরও একটি চক্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে পাঁয়তারা করেছে।

সমাবেশটিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ফেনী জেলার সংগঠক জোবেদা আক্তার কচি, উদীচী ফেনী সংসদের সহ-সভাপতি মৌসুমি সোম, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্সসহ অনেকে।