সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী : নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীদের লড়াই

সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী :  নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীদের লড়াই

ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য পণ্য সরবরাহে হ্রাসকে দায়ী করছেন

এ যেন নিন্ম ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীদের লড়াইয়ের শামিল। পাবনাসহ  উত্তরের জেলাগুলোতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের উপার্জনকারীরা শাকসবজির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে যেন লড়াই করে যাচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভাল দাম পাওয়ায় এবং আরও ভাল মুনাফা অর্জন করায় চাষীরা অবশ্য খুশি হয়েছেন।

কর্মকর্তারা ও কৃষকরা বলেন, এ বছর এই অঞ্চলটিতে বেশ কয়েকবার বন্যার কবলে পড়ে যা সবজির দাম বৃদ্ধির মূল কারণ। তদুপরি বাজারের তদারকি ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের অভাবে আলু, কাঁচা শাকসব্জীসহ সব কিছুর দাম বেড়েছে অসহনীয় পর্যায়ে।  আলু,  বেগুন, শিম, বরবটি, কাঁচা কলা, পেঁপে, মূলা, লাউ, মটরশুটি, কাঁচা মরিচ এবং শাকসব্জির দাম অতীতের চেয়ে বর্তমান দামের পার্থক্য এতটাই বেশি; যা নিন্ম ও মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

বাজার সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে এই অঞ্চলে বাজারে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা,  বেগুন ৩০-৩৫ টাকা কেজি, কুমড়া ২০-২৫ টাকা কেজি, করলা ৪০-৫০ টাকা কেজি এবং লাল শাক প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা। উত্তরাঞ্চলীয় জেলা জুড়ে বাজারগুলোতে সবজির পাইকারি দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এবং অ ঞ্চলের ব্যবসায়ীরা সরবরাহের ঘাটতির কারণ উল্লেখ করছেন। নিম্ন-আয়ের উপার্জনকারীরা খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সবজির বাজারের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে বলে জানান বড় বাজারের ভোক্তা আবদুস সালাম, আবদুল খালেক, মোমিন আলী, নাজিম উদ্দিনসহ অনেকে। ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য পণ্য সরবরাহে হ্রাসকে দায়ী করছেন।

ব্যবসায়ীদের মতে, এ বছর সবজির সরবরাহ অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে এবং ফলস্বরূপ তাদের আরো বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যদিও  প্রতি শীতে জমিতে আগাম শাকসব্জিতে পূর্ণতার কারণে বাজারে পূর্ণতা আসে। তবে এবার শাকসব্জিসহ বেশিরভাগ ফসল বন্যার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে এবং ফলস্বরূপ দাম বৃদ্ধি বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

পাবনা শহরের কাঁচা বাজারের আড়ৎদাররা বলেন, গ্রাম থেকে বাজারগুলেতে সবজির সরবরাহ এখন হ্রাস পেয়েছে; ফলে দাম বেড়েছে। সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন তারা; যারা পারেন না চাইতে, পারছেন না নির্ধারিত আয় ব্যতীত অন্য কিছু করতে।