সারাদেশে ‘মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ’ প্রতিষ্ঠার নামে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

সারাদেশে ‘মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ’ প্রতিষ্ঠার নামে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

‘মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ’ প্রতিষ্ঠারনামে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে যশোরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে রেখে ‘মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ’ নামে সারাদেশে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে লুটপাট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন যশোরের মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের অভিযোগ বগুড়ার কথিত মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল মান্নান সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় এ প্রতিষ্ঠান করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ অভিযোগ করেন, সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন করছেন বলে মিথ্যা প্রচার শুরু করেছেন বগুড়ার কথিত মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল মান্নান। তার উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবহিত দাবি করে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করে কমিটি গঠন, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে যশোরেও ৭টি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে যশোর সদর, মণিরামপুর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে যশোর সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামে স্থাপিত কলেজে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে এবং নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা নেতারা আরো বলেন, যশোরসহ সারাদেশে ৭২টি কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ১৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে এবং শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে এ প্রতারণা বন্ধে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, শিক্ষামন্ত্রণালয় সহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর যশোর জেলা মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার আলী হোসেন মনি, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন দোদুলসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।