পাবনায় ‘মিডিয়া মোবিলাইজেশন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা

পাবনায় ‘মিডিয়া মোবিলাইজেশন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা

পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে মিডিয়া মোবিলাইজেশন মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাবনায় নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে পুরুষ এবং কিশোরদের অংশগ্রহণে ‘মিডিয়া মোবিলাইজেশন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বেসরকারি সংস্থা ব্রেড'র উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. নরেশ চন্দ্র মধুর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম। শুরুতেই প্রকল্পের সার্বিক দিক উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের রাজশাহী ডিভিশনাল ম্যানেজার (ডিজেডি প্রোগ্রাম) রায়হানুল ইসলাম। 

মতবিনিময় সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ। 
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পাবনা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, নিউএজ পত্রিকার মাহফুজ আলম,  ডেইলি স্টারের আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু, আরটিভির আবুল কালাম আজাদ, যমুনা টিভির ছিফাত রহমান সনম, বাসস ও ভোরের কাগজের রফিকুল ইসলাম সুইট, এটিএন নিউজের রিজভী জয় প্রমুখ।  

সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, বর্তমান সমাজে যে অবক্ষয়; তাতে আইন প্রণয়নের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতি সৃষ্টি করতে হবে। শুধু গণমাধ্যম কর্মী নয়; অভিভাকদের নিয়েও সচেতনমূলক সভা করে শিশু ও বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদেরকে অবক্ষয়ের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

মতবিনিময় সভায় স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মিরা অংশগ্রহণ করেন। 
অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও মিডিয়ার ভুমিকায় আলোচনা সভা, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, শিশু ও নারী নির্যাতন এবং প্রতিরোধ বিষয়ক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা  করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচিতি, উদ্দেশ্য ও সমসাময়িক সময়ে নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন বিষয়ক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সভায় বক্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিকভাবে শিশু ও নারী তথা জেন্ডার ভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে সবাইকে মোবিলাইজেশনের মাধ্যমে বেশি বেশি সচেতন করতে হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি জাগ্রত হতে হবে। পাশাপাশি আইনের সক্রিয়তার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার ব্যাপারে আরও বেশি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেণ। বক্তারা বলেন, শুধু গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে নয়; অভিভাবকদের নিয়েও এ ধরণের প্রোগ্রাম করা প্রয়োজন। তারা বলেন, যেহেতু বিশ্বময় করোনার কারণে শিশুসহ সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছে; তারা যাতে বাসা-বাড়িতে ডিজিলাইজেশন এ যুগে কম্পিউটার, মোবাইল, ফেসবুকের মাধ্যমে খারাপ দিকে না যায়; সে দিকে অভিভাকদের লক্ষ্য রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।