দাঁতে কালচে দাগ, মুখে দুর্গন্ধ দূর করার সহজ সমাধান

দাঁতে কালচে দাগ, মুখে দুর্গন্ধ দূর করার সহজ সমাধান

দাঁতের চিকিৎসায় অবহেলা নয় কোনওমতেই। ফাইল ছবি।

যাদের দাঁত কালচে দাগ রয়েছে তারা হাসতে গেলেও ১০ বার ভাবেন। জোর করে হাসি চেপে রাখেন। হলদে বা কালচে দাগ থাকলে দাঁত বের করে হাসলে নিজেরই খারাপ লাগে। অনেকের সমস্যা আবার অন্যরকম, তাঁরা কারও সামনে গিয়ে কথা বলতে গিয়ে পিছিয়ে আসেন। অন্যরা নাকে রুমাল দেন তাঁদের শ্বাসের দুর্গন্ধের জন্যে।

দাঁত ভাল রাখার একটিই সহজ উপায় হল দিনে দু’বার সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করার পাশাপাশি প্রতি বার খাবার পরে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ পরিষ্কার রাখা, দাঁতের ফাঁকে যেন খাবারের টুকরো আটকে না থাকে সে দিকে নজর রাখা, এমনই জানালেন ডেন্টাল সার্জেন শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিগারেট, বিড়ি, গুটখা, খৈনি-সহ যে কোনও বদ অভ্যাস দাঁত-সহ মুখের ভিতরের ও মাড়ির সমস্যা ডেকে আনে। মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার পাশাপাশি দাঁতে কালচে ও হলদেটে দাগ ছোপ পড়ে। এ সকল থেকে রক্ষা পেতে একদিকে খারাপ অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে, অন্যদিকে বছরে এক বার স্কেলিং করিয়ে নিলে দাঁতের দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধও দূর হয় বললেন শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।

পানপরাগ বা সিগারেটের নেশা নেই অনেকের। তবুও দাঁতে দাগ পড়ে যায়। বেশ কিছু কারণ লুকিয়ে আছে এর পিছনে। বয়স বাড়লে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে যেমন ত্বকে দাগ পড়ে, চুলে সাদা হয় তেমনই দাঁতেও দাগ পড়ে। একজন অল্প বয়সী ছেলে মেয়ের দাঁত যতটা উজ্জ্বল, ৬০ পেরিয়ে গেলে দাঁত ততটাই দাগ ভরা। তবে সঠিক পদ্ধতিতে দিনে দু’বার নিয়ম মেনে ব্রাশ করলে এবং নিয়ম করে সঠিক ভাবে স্কেলিং করালে দাগ সমস্যা থাকবে না। 

বহুবার কফি, চা বা রেড ওয়াইন পান করেন তাঁদের দাঁতের রঙ বদলে যায়। ডার্ক চকোলেট, বিট, গাজর বেশি খেলে দাঁতে দাগ পড়তে পারে। প্রতিদিন ডায়েটে ভিনিগার সহ প্রচুর সাইট্রাস অর্থাৎ টকজাতীয় খাবার থাকলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে দাঁতে দাগ ধরে যায়। অনেক সময় বেশি ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দাঁতে কালো দাগ পড়তে পারে। চোট লেগে দাঁতের রঙ বদলে কালচে বা নীলচে হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসা করানো দরকার। ব্যথা থাকে না বলে কেউই প্রথমে খেয়াল করেন না। কিন্তু পরবর্তী কালে দাঁতের রঙ পাল্টে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তিও কম হয় না।

রেগে গেলে দাঁতে দাঁত ঘষা অনেকের বদ অভ্যেস। এর থেকেও এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে দাঁতের রঙ বদলে যায়। অনেকেই টুথ পিক বা ফ্লস ব্যবহার করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে একবার অন্তত ডেন্টাল সার্জেনের পরামর্শ নেওয়া উচিত। লক্ষ্য করে দেখবেন অল্প বয়সিরা কিন্তু এগুলি ব্যবহার করে না। যখনই টুথপিক ব্যবহারের প্রয়োজন হবে বুঝবেন দুটি দাঁতের মধ্যবর্তী ফাঁক বেড়ে গিয়েছে। তাই কোনও সমস্যা থাকুক না থাকুক বছরে অন্তত একবার ডেন্টাল সার্জেনের কাছে যেতে হবে।