ময়মনসিংহের নকল ব্যান্ডরোল বিড়ির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

ময়মনসিংহের নকল ব্যান্ডরোল বিড়ির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

ময়মনসিংহের বিভিন্ন দোকান থেকে নকল বিড়ি জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদলত।

ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে বিড়ি বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিনা করেছে। জেলার গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ১০০ প্যাকেট নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি উদ্ধার করেছেন তারা। এ অপরাধে বেশ কয়েকটি দোকান মালিককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

জানা গেছে, ময়মনসিংহ এলাকায় একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি বিক্রি ও মজুদ করে যাচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছেন। এর অংশ হিসেবে গত ৫ নভেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার ও মজুদের অভিযোগে ২ ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভাই ভাই স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং সুশান্ত স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  এ সময় ৫ হাজার ১ শত প্যাকেট নকল ব্যান্ডরোল বিড়ির প্যাকেট জব্দ করা হয়।

একই অপরাধে গত রোববার গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখোলায় দোকানী সজলকে ২০ হাজার, রিপনকে ৫ হাজার ও খোকনকে ৫ হাজার টাকা, কলতাপাড়ায় দোকানদার আজিজুলকে ২ হাজার টাকা, গৌতমকে ২ হাজার টাকা ও সত্য বাবুকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. আবিদুর রহমান।

এদিকে গত সোমবার ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা বাজারে নকল ব্যান্ডরোল সাঁটানো বিড়ি বিক্রির দায়ে দোকানদার লিটন মুন্সিকে ২ হাজার টাকার জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা হাসান। এসময় পাখি বিড়ির স্থানীয় ডিলার ইদুল মিয়া অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

এসময় সেখান থেকে দয়াল বিড়ি, নবাব বিড়ি, বাংলা বিড়ি, আশিক বিড়ি, পাখি বিড়ি, সাজ্জাদ  বিড়ি, তৃপ্তি বিড়ি, জনি বিড়ি, মোহিনীসহ  প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার নকল ব্যান্ডরোল লাগানো বিড়ি জব্দ করা হয়। সেই সাথে সেখানে পাখি বিড়ির একটি গোডাউন সিলগালা করা হয়।