চলে গেলেন কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

চলে গেলেন কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে জার্মানিতে নিজস্ব বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, গত চার দশক ধরে জার্মানির বাসিন্দা কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত। তিনি স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে মারা যান। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।  তাঁর স্ত্রী এলিজাবেথ মোবাইলফোনে এ খবর জানান

১৯৩৩ সালের ৬ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন কবি অলোকরঞ্জন। শান্তিনিকেতনে প্রথম পাঠ সেরে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে শেষ করেন স্নাতকোত্তর। এর পর দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ থেকে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতে গিয়েছিলেন অলোকরঞ্জন। বাংলা ভাষার সঙ্গে জার্মান সাহিত্যের মেলবন্ধনের রূপকার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। বাংলা কবিতা জার্মান ও ইংরেজি ভাষায় অনুবাদের পাশাপাশি জার্মান ভাষার কবিতাও বাংলায় অনুবাদ করেছেন। জার্মান সরকার তাঁকে গ্যেটে পুরস্কারে ভূষিতও করে। 

বৈদগ্ধ্য আর সৃষ্টির আশ্চর্য সমন্বয় তাঁর জীবন জুড়ে। রবীন্দ্র ধারার কাব্যরুচি থেকে বাংলা কবিতাকে পৃথক খাতে বইয়ে দেওয়ার শুরু পঞ্চাশের দশকে। এই সময়ে যাঁরা নিজস্ব ভাষাভঙ্গি নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলেন, অলোকরঞ্জন ছিলেন তাঁদের অগ্রপথিক।শ্রেষ্ঠ কবিতার উৎসর্গে লেখেন, ভগবানের গুপ্তচর মৃত্যু এসে বাঁধুক ঘর/ছন্দে, আমি কবিতা ছাড়ব না'! যা একদা উস্কে দিয়েছিল বহু বাঙালির কবিতা লেখার আবেগ।