শীতে ঠাণ্ডা না গরম কোন পানিতে গোসল?

শীতে ঠাণ্ডা না গরম কোন পানিতে গোসল?

ফাইল ছবি।

শীত এসে গেছে। তবে ঢাকা শহরে এখনও জাঁকিয়ে শীত পড়েনি। তবে স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা অনেকটাই কম। মৌসুমী বায়ু পরিবর্তনের এ সময় সুস্থ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এরই মধ্যে শীতকালে গোসল করা অনেকের কাছেই সবচেয়ে কঠিন সমস্যা। এই শীতেই অনেকেই গরম পানিতে গোসল করেন, অনেকে আবার সুস্থ থাকতে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করেন। 

কোন পানিতে গোসল করা বেশি উপকার?

খুব গরম পানিতে গোসল করা কিন্তু শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো না। ত্বকের ফলিকলগুলোকে নষ্ট করে দেয়। গোসলের সময় মাথায় অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার চুলকে যেমনি ক্ষতিগ্রস্ত করে তেমনি মস্তিস্কের ওপরেও চাপ সৃষ্টি করে। সেই কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত, মাথায় ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা।

অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে মুখে ব্রণ হয়। অ্যাসিডিটি-র সমস্যাতেও চিকিৎসকেরা পুরোপুরি গরম পানিতে গোসল করতে বারণ করে থাকেন। এ ছাড়া মানসিক বিষণ্ণতাতেও গরম পানিতে গোসল করার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, গরম পানি ব্যবহার, তাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে।

ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে টনসিল, সর্দি, কাশি প্রভৃতি বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গের উৎপত্তি ঘটবে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এই অভ্যাস।

অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানিতে গোসল শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। এতে দেহের সূক্ষ্ম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নার্ভের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের বাতের ব্যথার প্রবণতা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা একেবারেই চলবে না।

শীতকালে তাহলে কী করবেন?

শীতকালে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের পেশির রিল্যাক্সেশনের ক্ষেত্রে, এর থেকে ভালো উপায় আর নেই। এতে শরীরের রক্ত চলাচলের বৃদ্ধি ঘটে, অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। সর্দি, কাশি বা টনসিলের উপশম ঘটে। সমগ্র শরীর, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা