অবশেষে বিল প্রস্তাবে সই করলেন ট্রাম্প

অবশেষে বিল প্রস্তাবে সই করলেন ট্রাম্প

ফাইল ছবি

প্যানডেমিক প্যাকেজ নিয়ে প্রথমে আপত্তি থাকলেও অবশেষে সেই বিল প্রস্তাবে সই করলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে বিলটিকে জঘন্য বলেছিলেন তিনি।

প্রবল চাপের মুখেই এ রিলিফ বিলে সই করতে বাধ্য হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিলটি কংগ্রেসে বিপুল ভোট পাওয়ার পর ট্রাম্প সই করায় এটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের চাপের মুখে বিলটিতে সই করতে বাধ্য হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দুই দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণার বিলটি কিছু দিন আগেই পাশ হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসে। নির্বাচনের আগে থেকেই ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের দাবি করছিল। বস্তুত, এই প্যাকেজে সব শ্রেণীর মার্কিনি উপকৃত হবেন। স্বাস্থ্য ও ব্যবসা খাতে বিপুল পরিমাণে প্রণোদনা দেয়া হবে। অর্থনীতি যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্যই এই আর্থিক প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে করোনা ভ্যাকসিন সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্যও একটি বাজেট ধরা হয়েছে বিলে।

তবে প্রথম থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করছিলেন ট্রাম্প। তিনি বিলটিকে জঘন্য বলেও ব্যাখ্যা করেছিলেন। যদিও বলেননি, কেন বিলটি তার খারাপ মনে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, ডেমোক্র্যাটদের কংগ্রেসে পাশ হওয়া বিল এমনিতেই তিনি সই করতে রাজি হচ্ছিলেন না। বস্তুত, গত কয়েক দিনে একাধিক বিলে ভেটো দিয়েছেন ট্রাম্প। আর্থিক প্যাকেজের বিলটিতে ভেটো না দিলেও আপত্তি জানিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

কিন্তু বিলটিকে সমর্থন করেছিলেন রিপাবলিকানদের একটি বড় অংশ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাদের চাপেই শেষ পর্যন্ত বিলটিতে সই করেন ট্রাম্প। সই করার আগে একটি টুইটও করেন তিনি।

ডেমোক্র্যাটরা অবশ্য চেয়েছিলেন প্রত্যেক মার্কিনির অ্যাকাউন্টে দুই হাজার ডলার করে দিতে। কিন্তু বিলে ৬০০ ডলার করে দেয়া হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, দুই হাজার ডলার করে দেয়া গেলে অর্থনীতির ভালো হতো। অর্থনীতি আবার সচল হতে শুরু করতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে দুই হাজার ডলার দেয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করেন অর্থনীতিবিদদের অন্য অংশ। মূলত ওই কারণেই এত টাকা দেয়ার কথা বলা হয়নি বিলে।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে