ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ফাইল ছবি

ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের টিকার প্রথমবারের মতো তালিকাভুক্ত করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সংস্থাটির সহকারী মহাপরিচালক ডা. মারিয়াঞ্জেলা সিমাও জানান, বিশ্বব্যাপী টিকা নিশ্চিতে এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

মহামারি শুরুর প্রথম ভ্যাকসিনের বৈধতা দানের ফলে বিভিন্ন দেশের আমদানি ও প্রয়োগে নিজেদের নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন দেওয়ার পথ উন্মুক্ত করবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আগেই জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ইইউভুক্ত দেশগুলোও ফাইজারের টিকা গণহারের ব্যবহার অনুমোদন দেয়।

ডব্লিউএইচও’র শীর্ষ মুখপাত্র মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার পথে এটি খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে আমি গুরুত্বের সঙ্গে বলতে চাই, বিশ্বব্যাপী জনগোষ্ঠীর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় টিকা সরবরাহের জন্য আরো বৃহৎ বৈশ্বিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠীর মাঝে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে আরও বৃহত্তর উদ্যোগ নিতে হবে।’

এছাড়া বিশ্বের যেসব দেশে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োজন তাদের জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহে ইউনিসেফ ও পান-আমেরিকান হেলথ অর্গাইনেশনকে সক্ষম করে তোলা হবে বলে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে প্রথম ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। দেশটিতে প্রথম ভ্যাকসিন নেন ৯০ বছর বয়সী মার্গারেট কেনান। তিনি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের এনিস্কিলেন শহরের বাসিন্দা।

ওই সময় যুক্তরাজ্যের প্রায় ৭০টি হাসপাতালে টিকা কর্মসূচির আওতায় করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী, ৮০ বছরের বেশি বয়সী লোকজন ও কেয়ারহোমের কর্মীদেরকেই প্রথম সারিতে টিকা দেয়া হয়।

এরপর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বাহরাইন, সৌদি আরব, ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন পায়। এরপর তারা এই টকিার প্রয়োগও শুরু করে।

ডব্লিউএইচওর এই বৈধতার ফলে ইউনিসেফ ও প্যান-আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের মতো সংস্থা যেসব দেশের প্রয়োজন সেগুলোর জন্য ভ্যাকসিন কিনতে পারবে।

অন্যদিকে, বুধবার যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনও নিজ দেশে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বরিস সরকার।