কাঁধে ব্যথা বা ফ্রোজেন সোল্ডার এর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং পরামর্শ

কাঁধে ব্যথা বা ফ্রোজেন সোল্ডার এর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এবং পরামর্শ

আনিছুর রহমান

ফ্রোজেন সোল্ডারঃ মাঝ বয়সী অনেক মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে। মেডিক্যাল এর ভাষায় এর নাম এডহেসিব ক্যাপসুলাইটিস। অনেক কারনে এই সমস্যা হয়ে তার মধ্যে ডায়াবেটিস, কাঁধের মাংসপেশীতে আঘাত, মচকানো বা ছিঁড়ে কাধে ব্যথার কারনে মুভমেন্ট কমে গিয়ে ফ্রোজেন সোল্ডার হতে পারে।

 লক্ষনঃ

 ১. দীর্ঘদিন ধরে সোল্ডার জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হবে।

 ২. ব্যথা জয়েন্টের চারপাশে হতে পারে অথবা হাতের পাশ দিয়ে নিচেও নামতে পারে।

 ৩. যে পাশে সমস্যা হয়, সেদিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকলে ব্যথা হতে পারে।

৪. দৈনন্দিন কাজে হাত নড়াচড়া করতে ব্যথা তীব্র হতে পারে।

৫. হাত মাথার উপরে তুলতে কষ্ট হবে এবং ব্যথা লাগবে।

৬. পিঠ চুলকাতে, টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে ব্যথা লাগবে।

৭. ধীরে ধীরে জয়েন্টের মুভমেন্ট কমে আসবে এবং এক সময় হাত দিয়ে স্বাভাবিক কাজ করাও কষ্ট হবে।

 চিকিৎসাঃ এসব ক্ষেত্রে ফিজিশিয়ানরা সাধারণত বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে থাকেন এবং পাশাপাশি স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশন দিয়ে থাকেন। যেহেতু পেইন কিলার এবং স্টেরয়েড ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, সে জন্য আপনি অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। ফিজিওথেরাপি হচ্ছে এই রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন অত্যাধুনিক চিকিৎসা। নিয়মিত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব।

পরামর্শঃ ব্যথার স্থানে গরম সেঁক দিতে পারেন। তবে কোন রকম মালিশ করা যাবে না। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের নির্দেশ মতো নিয়মিত এক্সারসাইজ করবেন। যে পাশে সমস্যা, সেদিকে কাত হয়ে ঘুমাবেন না। ভারি জিনিস টানবেন না। ডায়াবেটিস থাকলে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

আনিছুর রহমান

ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন বিশেষজ্ঞ

 আদ্- দ্বীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মগবাজার।