বিদেশ নামক সোনার হরিণের পেছনে অন্ধের মত ছুটবেন না

বিদেশ নামক সোনার হরিণের পেছনে অন্ধের মত ছুটবেন না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিদেশ নামক সোনার হরিণের পেছনে অন্ধের মত ছুটবেন না। আমাদের দেশে কাজের ও খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করছি, এখানেও কোনো কাজের অভাব হবে না, আমাদের দক্ষ শ্রমিকেরও দরকার হবে, বিদেশি বিনিয়োগও আসছে।’

 আজ বুধবার গণভবন থেকে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস ২০২০’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী ও স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। দেশে অনেক মেগা-প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং সেখানে অনেক লোক কাজ করছেন। তারা এই প্রকল্পগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করছে এবং এই অভিজ্ঞতা তাদের জন্য দেশে ও বিদেশে উপকারী হবে।’

প্রবাসী কর্মীদের যথাযথ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ অভিবাসন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘শ্রম অভিবাসনের সাথে যারা জড়িত- রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়- তাদের (শ্রমিকদের) যথাযথ মর্যাদা দিন এবং তাদের যেন কোনো রকম সমস্যা না হয় সেটা নিশ্চিত করুন।’

তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশে যেতে চান তাদের কর্মসংস্থান ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, তাদের নিরাপত্তা ঠিকমতো আছে কিনা, বিশেষ করে আমাদের মেয়েরা যারা যায়, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা সকলকেই লক্ষ্য রাখতে হবে।

বিদেশ যাওয়ার সময় অনেকে দালালদের খপ্পরে পড়ে অন্ধকার পথে পা বাড়ায় বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এজন্য তিনি সকলকে নিবন্ধন করে এবং যথাযথ ও বৈধ প্রক্রিয়ায় তাদের কাঙ্ক্ষিত কাজ পাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরে যেতে বলেন।

তিনি বলেন, যদি আপনারা কারো প্ররোচনায় বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়েন সেটা নিজেদের জন্য, পরিবারের জন্য খুবই কষ্টকর, খুবই ক্ষতিকর।

তিনি বলেন, কিছু লোক আছেন যারা সঠিক প্রশিক্ষণ না নিয়েই একটি সনদ নেন এবং তারপরে তারা বিদেশে নানা সমস্যার মুখোমুখি হন।

‘আমি মনে করি যে এটি করা ছাড়া যদি কেউ আন্তরিকতার সাথে প্রশিক্ষণ নেন তবে সেই ব্যক্তি বিদেশে কোনো ধরনের হয়রানির মুখোমুখি হবে না।