রাজশাহীতে ৭ দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

রাজশাহীতে ৭ দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

রাজশাহী রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে বিড়ি শ্রমিকরা।

বিড়ির উপর অতিরিক্ত ৪ (চার) টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার, বিড়িতে অগ্রীম ১০% আয়কর প্রত্যাহার, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও ৩ টি মূল্যস্তর করণ, শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি, জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি ও ব্যান্ডরোলবিহীন বিড়ির ব্যবসা বন্ধ, ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পকে সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।

বুধবার বেলা ১১টায় রাজশাহী রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে রাজস্ব কর্মকর্তার মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেন, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, রাজশাহী বিভাগীয় বিড়ি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী বলেন,“ বিড়ি দেশীয় কুটির শিল্প। সমাজের অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙ্গন কবলিত ও চর এলাকার মানুষ বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বৈষম্যমূলক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে শিল্পটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে কর্ম হারিয়ে শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। শ্রমিকদের কর্ম রক্ষার্থে অনতিবিলম্বে বিড়িতে বৈষম্যমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

কার্যকরী সভাপতি মো: আমিন উদ্দিন বিএসসি বলেন, “চলতি বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়ির মূল্যস্তর ৪টাকা বাড়ানো হলেও সিগারেটে মাত্র দুই টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা চরম বৈষম্যমূলক ও বিড়ি শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরণের অনাকাঙ্খিত মূল্যস্তর বৃদ্ধিতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত।

সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সময়ে বিড়িতে ট্যাক্স ছিল না। কিন্তু একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে বৈধ বিড়ি কারখান বন্ধ হয়ে শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে। বিড়ির বাজার নকলবাজদের দখলে যাওয়ায় সরকার বিড়ি থেকে প্রকৃত ট্যাক্স আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা সরকারকে বিড়ির উপর শুল্ক কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।