আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফের দাবিতে ইবিতে ছাত্র সমাবেশ

আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফের দাবিতে ইবিতে ছাত্র সমাবেশ

ছবি : প্রতিনিধি

করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সময়ের আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, গত ১০ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পরিবহন ও আবাসিক সেবা পায়নি তবুও ফি নেওয়া হচ্ছে যা সসম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তারা প্রশাসনের কাছে এ সময়ের ফি মওকুফের দাবি জানান।

শনিবার এ দাবি নিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্র সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন। বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি। কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সাংগঠনিক সম্পাদক ইমানুল সোহানের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নুরুন্নবী সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিক সমাবেশে বক্তব্য দেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি। এতে ফি মওকুসহ আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা গ্রহণ ও বিভিন্ন কাগজপত্র উত্তোলনে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনের দাবি জানান তারা।

সমাবেশে নেতাকর্মীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালে শিক্ষার্থীদের সেবা বাবদ অর্থও ব্যয় হয়নি। তবুও তাদের থেকে ফি নেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। একইসাথে আবাসিক হল না খুলে যে পরীক্ষা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে তা আরও বিপজ্জনক। পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীরা মেসে গাদাদাদি  করে থাকছেন। এতে স্বাস্থ্যঝুকি বাড়ছে ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। তাঁরা আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর একাডেমিক কমিটির সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল বন্ধ রেখে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের আটকে থাকা চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও অন্য শিক্ষাবর্ষের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে বিভাগকে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর আলোকে বিভিন্ন বিভাগ পরীক্ষার সময়সূচী প্রকাশ করেছে। পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পরিবহন ও আবাসিক ফি দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের এই দাবির যুক্তি আছে বলে বিশ্বাস করি। এ ক্ষেত্রে সরকার ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে সমন্বয় করে তা দেখব এবং ফিন্যান্স কমিটিসহ এ সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোর পরবর্তী মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।