ভারতের নয়া কৃষি আইন নিয়ে রায় দেবেন সুপ্রিমকোর্ট

ভারতের নয়া কৃষি আইন নিয়ে রায় দেবেন সুপ্রিমকোর্ট

ফাইল ছবি।

নয়া তিন কৃষি আইন নিয়ে সোমবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিমকোর্ট। মঙ্গলবার এ তিনটি আইন নিয়ে রায় দেবেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

সোমবার এ ব্যাপারে শুনানির সময় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, কৃষি আইন নিয়ে তাদের কাছে যতগুলো হলফনামা জমা পড়েছে তার একটিতেও এই আইনের পক্ষে কিছু বলা হয়নি।

এ দিকে বিতর্কিত নয়া কৃষি আইনগুলো নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট যে মধ্যস্থতাকারী কমিটির প্রস্তাব দিয়েছেল, তা ইতোমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো।

এ পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্ট মঙ্গলবার কী রায় দেবেন ওই দিকেই নজর সবার। তবে প্রশ্ন উঠছে সুপ্রিমকোর্টের রায় ঘোষণার পরও নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে কৃষক-বিক্ষোভ উঠবে কি না? প্রশ্ন রয়েছে এ নিয়েও।

এরইমধ্যে নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে আগামী ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাস্তায় আন্দোলনকারী কৃষকরা ট্রাক্টর র‌্যালির করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তা আটকাতেও দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার।

কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিমকোর্টে যে হলফনামা জমা দিয়েছে, তাতে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সাংবিধানিক গুরুত্বের দিকটি উল্লেখ করা হয়েছে।

২৬ জানুয়ারি ওই অনুষ্ঠানের আগে ২৩ জানুয়ারি রয়েছে মহড়া। ২৮ জানুয়ারি এনসিসির র‌্যালি, ৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবস। প্রজাতন্ত্র দিবসের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানগুলোর উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, অনুষ্ঠানগুলোতে বাধা দেয়া শুধু আইন ভাঙা বা সরকারি নির্দেশ অমান্য করা নয়, বরং এটি জাতির কাছেও অস্বস্তির।

তবে বিতর্কিত এ কৃষি আইনসংক্রান্ত একাধিক মামলা হয়েছে ভারতের সুপ্রিমকোর্টে। ওই মামলাগুলোতে ট্রাক্টর র‌্যালি বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

সোমবার কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কৃষক বিদ্রোহ মীমাংসায় সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও আইন প্রণয়নে একগুঁয়েমির বিষয়টিও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কৃষি আইন বন্ধ করতে কেন কোনো সাড়া নেই? কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন বাতিল করতে রাজি হলে তবেই আমরা কৃষকদের আলোচনার টেবিলে বসতে বলবো। স্পষ্ট করে বলুন, আপনারা বন্ধ করবেন, নাকি আদালত করবে? আমরা বুঝতে পারছি না, কেন যেকোনো প্রকারে এই আইন চালু করতে চাইছে সরকার।’’

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা