পিকে হালদারসহ ৬২ জনের ১০৬০ কোটি টাকা ফ্রিজ

পিকে হালদারসহ ৬২ জনের ১০৬০ কোটি টাকা ফ্রিজ

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মুখে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের ৬২ জন ‘সহযোগীদের’ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা লোপাটে পিকে হালদারের সহযোগী ছিলেন ৬২ জন ব্যাক্তি। চিহ্নিত ব্যক্তিরা নিজেদের ভুয়া কোম্পানির নামে বিভিন্ন লিজিং কোম্পানি ও ব্যাংকের ৩৩টি শাখা থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নেয়। এসব ঋনের বেশিরভাগ টাকাই তুলে নিলেও হিসাবগুলোতে থাকা ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা ফ্রিজ করে দুদক।

দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ৬২ জনের সঙ্গে তার (পিকে হালদার) লিংক পাওয়া গেছে। বিভিন্ন জনের মাধ্যমে তার বিভিন্ন দিকে সূত্র আছে। এরই মধ্যে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 

দুদক সচিব বলেন, পিকে হালদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার এক ‘সহযোগী’ অবন্তিকাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

অভিযুক্তদের মধ্যে গত চারদিনে ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা থাকলেও কেউই হাজির হননি। জিজ্ঞাসাবাদের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে পিপলস লিজিং-এর সিইও ও এমডি সামী হুদাসহ তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। বাকিরা হলেন একই কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল এবং পিপল লিজিং-এর হেড অব ক্রেডিট মাহামুদা কায়সার। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পিকে হালদারের কর্মকাণ্ডে কেউই জড়িন নন বলে দাবি করেন।