বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি না করতে মতবিনিময় সভা

বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি না করতে মতবিনিময় সভা

ছবি : প্রতিনিধি

চলতি বাজেটে বিড়ির উপর বৃদ্ধিকৃত মূল্যস্তর প্রত্যাহার ও আগামী বাজেটে বিড়ি উপর কোন শুল্ক বৃদ্ধি না করতে মতবিনিময় সভা করেছে বিড়ি শ্রমিকরা। শনিবার বেলা ২টায় রাজধানী পুরানা পল্টন আব্দুস সালাম আর্কেটে অবস্থিত বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নিজস্ব কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বিড়ি শ্রমিক নেতারা অংশগ্রহণ করে।

শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সহ-সভাপতি  লোকমান হাকিম, নাজিম উদ্দীন, প্রণব দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক আসলাম হোসেন, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদসহ বিভিন্ন জেলার বিড়ি শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ দেশের নানা সংকটে বিড়ি শ্রমিকরা ঝাঁপিয়ে এগিয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে বিড়িতে শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানী ও দেশীয় কিছু অসাধু চক্রের কারণে বিড়ির উপর মাত্রাতিরিক্ত শুল্কারোপ করা হয়েছে। ফলে বিড়ি মালিকরা করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে বেকার জীবন যাপন করছে।

শ্রমিক নেতারা আরো বলেন, অনলাইনে বিড়ির লাইসেন্স দিয়ে নকল বিড়ি তৈরির পথ সুগম হচ্ছে। বিড়ির বাজার এখন নকলবাজদের দখলে চলে গেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে প্রতি প্যাকেট বিড়ি মাত্র ৯/১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছে। যেখানে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ট্যাক্স দিতে হয় প্রায় ১০টাকা। সরকারকে ট্যাক্স না দিয়ে তারা রাতারাতি ধনী হয়ে যাচ্ছে।

নকল বিড়ি কম দামে পাওয়ায় বৈধ বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। শ্রমিকরা কাজ না পেয়ে বেকার জীবন যাপন করছে। নানা ধরণের নকল বিড়ি বন্ধে সরকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর নজরদারি দেওয়ার অনুরোধ করেন শ্রমিক নেতারা।

তারা বলেন, বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা বেশিরভাগ মহিলা। তাছাড়াও শারীরিক বিকলঙ্গ, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত। এসব শ্রমিকের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও যেমন নেই তেমনি অন্য কোন কাজও তারা পারে না। বিড়ি কারখানায় কাজ না করলে তারা পরিবার নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করবে।

আগামী বাজেটে বিড়ির উপর যাতে কোন শুল্ক বৃদ্ধি না হয় সেজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। কেউ বিড়ি শিল্প ধ্বংসের পাঁয়তারা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে বলে হুশিয়ারি করেন শ্রমিক নেতারা।