ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কমিশন গঠন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ

ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কমিশন গঠন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ

ফাইল ফটো

কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। রবিবার বেলা ১১টায় শিক্ষক সমিতির অফিসে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে কমিশন গঠনে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন শিক্ষক। 

জানা যায়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। গঠনতন্ত্রে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। তবে ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে বলে উল্লেখ আছে।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সে সময় নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেয় সমিতি। গত ৬ ডিসেম্বর সমিতির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে হঠাৎ নির্বাচন করতে চাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সমিতির কয়েকজন সদস্য। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় যেহেতু ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়নি তাই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গঠনন্ত্র পরিপন্থী। তাঁরা একান্তই নির্বাচন করতে হলে সাধারণ সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে মত দেন। তবে তাঁদের মত উপেক্ষা করে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাতেই তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে নির্বাচন হতে পারে না।

শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, যেহেতু নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়েছে এবং সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমোদনও দেয়নি তাই এখন নির্বাচন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের মতামত নিয়ে এবং সাধারণ সভা করে সিদ্ধান্ত নিলে এটা কার্যকর হতো। এভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা একদিকে যেমন গঠনতন্ত্র বিরোধী সেইসাথে শিক্ষক সমিতি সুলভ নয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়নি। তবে এখন বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয়েছে, একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সভা হচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের যাতায়াত শুরু হয়েছে তাই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে।