জুনের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশা

জুনের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আশা

ছবি : সংগৃহীত

চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। চলতি বছরের জুনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে, সেটি নিয়ে একমত হতে পারেনি দুই দেশ।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্র তৈরি করতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক করবে। এছাড়া প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশ কাজ করবে।

ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বলবো, আমরা সতর্কভাবে আশাবাদী। আমরা সর্বাত্নক চেষ্টা করবো।’

তিনি বলেন, এবারের প্রত্যাবাসন উদ্যোগে যাতে সফল হওয়া যায় সেজন্য তারা অতীতের দু’টো ব্যর্থ উদ্যোগ থেকে শিক্ষা নিতে চান।

এর আগে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হলেও এই প্রথম সচিব পর্যায়ের বৈঠক হল। এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে এবার চীনের মধ্যস্থতা।

এর আগে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরুর ৩ মাসের মাথায় নাইপিদোতে দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতেও পরোক্ষ মধ্যস্থতা করে চীন। এরপর ২ দফা তারিখ ঘোষণা করেও শুরু করা যায়নি প্রত্যাবাসন। প্রতিবারেই নানা টালবাহানা করা মিয়ানমার এবার চীনের কারণে ছিল ইতিবাচক।