দিল্লিতে কৃষক ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ

দিল্লিতে কৃষক ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ

ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের সাথে ব্যাপক লড়াই হয়েছে কৃষি সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিঙ্গুর সীমান্তে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে আরো কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষ হয়।

‘নতুন বাজার বান্ধব’ সংস্কারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কৃষকরা ট্রাক্টর চালিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করে। কয়েকটি জায়গায় কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে এবং তাদের জন্য নির্ধারিত রুটে না গিয়ে অন্য দিকে এগিয়ে যায়।

ভারতের ইতিহাস অন্যতম দীর্ঘ এই কৃষক আন্দোলন চলছে প্রায় এক মাস ধরে। সরকার প্রস্তাবিত আইনটি আপাতত স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে কিন্তু কৃষকরা বলছে তারা আইনটির বাতিল চায়। এর আগে দিল্লির সীমান্তে প্রায় দু’মাস অবস্থান ধর্মঘট করেছিলো কৃষকরা।

কয়েকদফা আলোচনার পর পুলিশ আজকের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিলো এই শর্তে যে তারা কোনোভাবেই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের বিঘ্ন ঘটাবে না।

দিল্লির ছয়টি প্রবেশপথ থেকে কর্মসূচি শুরুর কথা ছিলো কৃষকদের কিন্তু পুলিশ এর সবগুলোই অবরোধ করে রেখে কর্মসূচি পালনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দেয়।কিন্তু সিঙ্গুর, টিকরি ও গাজিপুর এই তিনটি জায়গায় কৃষকরা ব্যারিকেড ভেঙে, পায়ে হেঁটে ও ট্রাক্টরে করে মিছিল শুরু করে।গাজিপুর সীমান্তে একজন কৃষক বলেন ‘মোদীকে অবশ্যই এই কালো আইন ফিরিয়ে নিতে হবে।’তিনি বলেন, কৃষকরা সবাই সীমান্ত অতিক্রম করে দিল্লি অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান চলায় পুলিশের সাথে কৃষকদের আরো সংঘর্ষ হতে পারে। বার্ষিক প্যারেডে সশস্ত্র বাহিনী তাদের সর্বশেষ যুদ্ধ উপকরণ প্রদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে।

তবে করোনা মহামারীর কারণে এবারের আয়োজনকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। যে আইন নিয়ে কৃষকরা এতো বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাতে কৃষিকে উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থার আওতায় নেয়া হয়েছে আর এটিই কৃষকদের ক্ষুব্ধ করেছে।যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সংস্কারের পক্ষে।
সূত্র : বিবিসি