টাঙ্গাইলে শিশু হত্যায় ২ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড

টাঙ্গাইলে শিশু হত্যায় ২ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি : প্রতীকী

টাঙ্গাইলে শিশু মাসুদ রানা সয়নকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুমের মামলায় দুই আসামিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর দুই আসামিকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ দণ্ডাদেশ দেন।

আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রামপুর গ্রামের মো: শাহজাহানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০) ও গোপালপুর উপজেলার কামাক্ষাবাড়ী গ্রামের হিরালাল আর্যের ছেলে গৌতম চন্দ্র আর্য (৩০)। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ১০ বছর করে আটকাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ঘাটাইলের নিয়ামতপুর কাজীপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে হাসান আলী (২৫) ও ভূঞাপুরের রুহুলী পশ্চিমপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো: সোহেল (২৫)। এখন প্রাপ্ত বয়স্ক হলেও ঘটনার সময় তারা শিশু থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের পরিবর্তে আটকাদেশ দেয়া হয়।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি অ্যাডভোকেট শাহানশাহ সিদ্দিকী মিন্টু জানান, বিগত ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভূঞাপুর উপজেলার পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের মো: সাগরের আট বছর বয়সী ছেলে মাসুদ রানা সয়ন তার নানার বাড়ি রুহুলী থেকে মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সে ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। আসামিরা তাকে স্কুল থেকে অপহরণ করেন। পরে তারা সয়নের পরিবারের কাছে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এর মধ্যে অপহরণকারীদের দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। তারপরও অহরণকারীরা সয়নকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেন।

এ ঘটনায় সয়নের নানী মাজেদা বেগম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মোবাইলের কললিস্টের সূত্রধরে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনের দেয়া তথ্যমতে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ মধুপুর উপজেলার টেংরী গোরস্থানস্থ জনৈক শাহ আলমের বসতবাড়ির ভিতরে পশ্চিম পাশে প্রাচীর সংলগ্ন স্থান থেকে ভিকটিম মাসুদ রানা সয়নের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

এ সময় আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম চৌধুরী দয়াল ও অ্যাডভোকেট মিসেস খুকু রানী দাস।