স্বপ্ন পূরণে তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা আফগান নারী শিল্পীর

স্বপ্ন পূরণে তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা আফগান নারী শিল্পীর

সারা বারাকজাই

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের হেরাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সারা বারাকজাই। ২৭ বছর বয়সী সারার ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল অ্যানিমেশনের জন্য ছবি আঁকার। তার এই স্বপ্ন পূরণের জন্য তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রথম এই নারী অ্যানিমেশন শিল্পী।

আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘তুরস্ককে ধন্যবাদ, এখানে আমি অধ্যয়ন করতে সক্ষম হওয়ায় আমার স্বপ্ন সফল হয়েছে। বর্তমানে আমাকে অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে বিস্তৃত করতে চাই এবং আফগানিস্তানে একটি স্টুডিও স্থাপন করতে চাই।’

আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে যেতে এখনো বাধার মুখোমুখি হয় উল্লেখ করে সারা বলেন, ‘মেয়েদেরও স্বপ্ন ও লক্ষ্য রয়েছে, যা তারা অর্জন করতে চায়। আমি তাদের মতোই একজন। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমি আমার স্বপ্ন সফল করতে চাই।’হাইস্কুলে পড়ার সময়, সারা তার টেলিভিশনে দেখা কার্টুন চরিত্রগুলো নকল করে আঁকতেন।পরে তুরস্কে অ্যানিমেশন অ্যান্ড ইলাস্ট্রেশন বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য তিনি তুর্কি সরকারি বৃত্তি লাভ করেন।
সারা বলেন, ‘অ্যানিমেশন অ্যান্ড ইলাস্ট্রেশন আমার স্বপ্নের বিষয়। যখন আমি আঁকতাম, আমি চাইতাম তারা যেনো হাঁটা-চলা করে ও কথা বলে। আমি এর জন্য পরিশ্রম করেছি এবং আমি তুরস্কের স্কলারশিপ প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছি।’

আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক এক সফরে, তিনি ৩০টির বেশি অ্যানিমেশনের ওপর কোর্সের আয়োজন করেন। এ ছাড়া অনলাইনেও তিনি অ্যানিমেশনের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।সারা বর্তমানে আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে ইউনিসেফ ও ইউনেস্কোর বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য কাজ করছেন।তার স্বপ্ন, একদিন তিনি পিক্সার বা ডিজনির মতো বিশ্বব্যাপী পরিচিত অ্যানিমেশন স্টুডিওতে কাজ করবেন।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি