হাসপাতাল থেকে বাড়িতে সৌরভ, এখনো শঙ্কামুক্ত নন

হাসপাতাল থেকে বাড়িতে সৌরভ, এখনো শঙ্কামুক্ত নন

সংগৃহীত ছবি

চারদিন পর হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে সৌরভকে অ্যাপোলো থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখনো বিপদ মুক্ত নন। আপাতত কিছুদিন তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে। এদিন সকালে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সৌরভ পুরোপুরি সুস্থ এবং স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন। গতকাল রাতে ভাল ঘুম হয়েছে তাঁর। তাঁর শরীরের সব প্যারামিটারই সুস্থতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে, হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সৌরভের সঙ্গে কথা বলার পরই নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

২০২১ সালটা মোটেই ভালভাবে শুরু হয়নি সৌরভ গঙ্গুলির। বছরের শুরুতে হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করায় উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী তিনটি ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ ধরা পড়ে। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর ‘ব্লকেজ’ সরাতে বসানো হয় একটি স্টেন্ট। চারদিন পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। গত বুধবার ফের বুকে ব্যথা অনুভব করেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। তাঁকে তড়িঘড়ি বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার সৌরভের বুকে স্টেন্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী, প্রখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট অশ্বিন বালাচাঁদ মেহতা, চিকিৎসক আফতাব খান, সপ্তর্ষি বসু এবং সরোজ মণ্ডলের নেতৃত্বে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো হয় সৌরভের বুকে।

শুক্রবার যাবতীয় পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, সৌরভের শারীরিক মাপকাঠি স্বাভাবিক রয়েছে। চিকিৎসায় অভূতপূর্ব সাড়া দিচ্ছেন সৌরভ। স্টেন্ট বসানোর পর শুক্রবারই তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে প্রাইভেট রুমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সাধারণত স্টেন্ট বসানোর পর তিনদিন পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা। সেজন্যই রবিবার পর্যন্ত হাসপাতালে রাখা হয়েছিল মহারাজকে। তবে, রবিবার সকালে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর, তাঁর সুস্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। এবং তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপাতত কিছু নিয়ম মেনে বাড়িতেই বিশ্রামে থাকবেন মহারাজ। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে। এবং রক্ত তরল রাখার ওষুধ খেতে হবে। বছরে একবার চেক-আপ করাতে হবে।-সংবাদ প্রতিদিন