মিয়ানমারে অভ্যুত্থান : সকল পক্ষের মতোবিরোধ দূর করার প্রত্যাশা চীনের

মিয়ানমারে অভ্যুত্থান : সকল পক্ষের মতোবিরোধ দূর করার প্রত্যাশা চীনের

চীন ও মিয়ানমারের পতাকা - ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে চীন সকল পক্ষের কাছে মতবিরোধ দূর করে একসাথে কাজ করার প্রত্যাশা করেছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর চীনের বেইজিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়য়ের এক মুখপাত্র এই মন্তব্য করেন।

নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বেসামরিক প্রশাসনের সাথে সামরিক বাহিনীর কয়েক দিনের দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে সোমবার এই অভ্যুত্থান ঘটে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াঙ ওয়েনবিন সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন, ‘চীন ও মিয়ানমার উত্তম প্রতিবেশী। আমরা আশা করবো মিয়ানমারের সকল পক্ষ দেশটির সংবিধান ও আইনের অধীনে তাদের মতবিরোধ দূর করতে সক্ষম হবে এবং এর মাধ্যমে দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাজ করবে।’

চীন ও মিয়ানমার, প্রতিবেশী এই দুইটি দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়েই দেশ দুইটি একে অন্যের অপর নির্ভরশীল।চীন সামরিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই মিয়ানমারকে সহায়তা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি দেশটির সামরিক বাহিনীকেও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে চীন।

অপরদিকে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে সবসময় চীনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে উইঘুরসহ অন্য সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চীনের পদক্ষেপকে সমর্থন করে জাতিসঙ্ঘে ৫০ রাষ্ট্রের দূতদের যৌথ বিবৃতিতে মিয়ানমার যুক্ত ছিল।সূত্র : রয়টার্স, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট