সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ মারা গেছেন
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক পরপর দুবারের সংসদ সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক এবং সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহমেদ
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক পরপর দুবারের সংসদ সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক এবং সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহমেদ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১ টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
মুনসুর আহমেদের জানা নামাজ আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
পরিবার সূত্রে আরো জানান,প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা গত ২৮ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্ত হন। এরপর ১১ জানুয়ারি করোনা মুক্ত হলেও শারীরিক নানা জটিলতায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকাল থেকে তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে সন্ধ্যায় তিনি মারা গেছেন বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, আকস্মিকভাবে মুনসুর আহমেদের পালস্ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি মারা গেছেন বলে বলা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার পালস্ পাওয়া গেছে। এমতসবস্থায় তাকে তৎক্ষণাৎ লাইফ সাপোর্টে নেন চিকিৎসকরা। যদিও তখন তার মৃত্যুর ভুল সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল। অবশেষে রাত ১১ টা ২০ মিনিটে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান এবং ১৯৭৩ সাল থেকে পরপর তিন মেয়াদে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মুনসুর আহমেদ ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরপর দুবার সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি পর্যায়ক্রমে সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি ও সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ২০১১ সালে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক নিযুক্ত হয়ে পরবর্তী পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন।