মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসঙ্ঘ

মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসঙ্ঘ

মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসঙ্ঘ

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শাসক দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে ওই দেশের সেনাবাহিনী আটক করে ক্ষমতা দখল করে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। মিয়ানমারের সামগ্রিক এই পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ।এর আগে সামরিক শাসনের জেরে মিয়ানমারের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এএফপির খবরে জানা গেছে, বৈঠকটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। এটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। গতকাল সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বৈঠকের বিষয়টি অনুমোদন করেন।

গতকাল সোমবার মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের প্রথমে দিনেই ক্ষমতাচ্যুত অং সান সুচির সরকারের অধিকাংশ সদস্যকে বরখাস্ত করে নতুন লোক নিয়োগ করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টর্স ও বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সুচি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে।

নুতন মন্ত্রীদের অধিকাংশই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন রয়েছেন সেনা সমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য। ইউএসপিডির অন্যতম নেতা উনা মং লউনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। জানা গেছে, তিনি নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।সেনাবাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে নতুন এসব নিয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়।

এ ঘটনায় জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, রাখাইনে ছয় লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমাদের আশঙ্কা মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের ওপর আরো অত্যাচার নির্যাতন চালাতে পারে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।এ কারণেই মিয়ানমারের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে করণীয় ঠিক করতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ বলেও জানান তিনি।