গঠনতন্ত্রে ফিরল ইবি শিক্ষক সমিতি

গঠনতন্ত্রে ফিরল ইবি শিক্ষক সমিতি

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ৩০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ৩০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের এক সভার এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এম. আব্দুস ছোবাহান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

জানা গেছে, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পূর্বের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। সমিতির গঠনতন্ত্রের ধারা ৭ এর  ২ (ক) উপ-ধারায় প্রতি বছর ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে খোলার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে গঠনতন্ত্রে উল্লেখ রয়েছে।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত থাকলেও গত ১৭ জানুয়ারি এক সভায় নির্বাচনের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশন গঠন করা হয়। এ সময় সদস্যদের একাংশ গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মত দেন। কমিশন ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিলে সমিতির সদস্যরা প্রতিবাদ করেন। তাঁরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন নির্বাচন না করার দাবি জানান। তাঁদের দাবির প্রেক্ষিতে ও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের সাথে আলোচনার পর কমিশন গঠনতন্ত্রের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. কে. এম. আব্দুস ছোবাহান বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে নির্ধাারত সময়ের মধ্যে (১৭ ফেব্রুয়ারি) সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় তাই গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।