২ সপ্তাহের রিমান্ডে সু চি

২ সপ্তাহের রিমান্ডে সু চি

অং সান সু চি

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চিকে আটকের পর দুই সপ্তাহের রিমান্ড দেয়া হয়েছে। দেশটিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার দুই দিন পর সু চির দলের মুখ্যপাত্র খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুচিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। আমদানি ও রফতানি আইন লঙ্ঘন এবং যোগাযোগে অবৈধ ডিভাইস ব্যবহার করায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে মিয়ানমার পুলিশ। এনএলডি মুখপাত্র এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটক থাকবেন ৭৫ বছর বয়সী সু চি।

নেপিডোর সু চির বাসায় অভিযানের সময় বেশ কিছু ওয়াকিটকি রেডিও জব্দ করা হয়েছে বলে আদালতকে জানায় পুলিশ। এসব রেডিও অবৈধভাবে আমদানি করা এবং কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই সেগুলো ব্যবহার হচ্ছিল।

করোনা মহামারী চলাকালীন সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে রাষ্ট্রপতি বা সু চি-র কথা কেউই শুনেনি। সশস্ত্র বাহিনী প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থানটি ঘটে।এদিকে, এনএলডির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা ও আইনপ্রণেতাদেরও আটক করে সেনাবাহিনী।দুজন আইনপ্রণেতা জানান, রাজধানী একটি সরকারি হাউজিং কমপ্লেক্সে উন্মুক্ত বন্দীশালায় অন্তত ৪০০ আইনপ্রণেতাকে আটকে রাখা হয়েছে।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের তৃতীয় দিনে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। দেশটির বড় শহরগুলোর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চিকিৎসক, ফিজিশিয়ানসহ সেবাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেকেই তাদের চাকরি ছেড়েছেন। অনেক চিকিৎসক রোগীর কথা বিবেচনায় নিয়ে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তারা জান্তা সরকারের নতুন মন্ত্রীসভাকে স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছেন। সূত্র : সিএনএন