তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ২১৮ রান

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ২১৮ রান

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ২১৮ রান। সংগৃহীত ছবি

দিনের শুরুটা ভালোই করেছে টাইগার বোলাররা। তাইজুল, নাঈম আর মিরাজের ঘুর্ণিতে ২৫৯ রানে অল আউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। ব্যাটের সাথে সাথে বল হতেও উজ্জ্বল মেহেদী মিরাজ। তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। কিন্ত দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা বাংলাদেশের ভালো হয় নি। তামিম আর শান্ত কোনো রান না করে সাজঘরে ফিরে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৭ রান। তবে আগের ইনিংসে ১৭১ রানের লিডে মোট সংগ্রহ ২১৮ রান।
 
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্পিন বল হাতে বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া আঘাত করেন দীর্ঘদেহীর কর্নওয়াল। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই তামিমকে এলবির ফাঁদে ফেলেন কর্নওয়াল। চার বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তামিম। ফেরেন সাজঘরে। একই ওভারের ষষ্ঠ বলে কর্নওয়াল আউট করেন ওয়ান ডাউনে নামা শান্তকে। প্রথম স্লিপে শান্ত ক্যাচ দেন ব্লাকউডের হাতে। ১ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

দলের এমন করুণ পরিস্থিতে হাল ধরেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও ওপেনার সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ফিফটির দেখা পাওয়া সাদমান টিকতে পারেননি। খেলেছেন ৪২ বল, রান ৫। গ্যাব্রিয়েলের বলে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৩৩ রানে নেই বাংলাদেশের তিন উইকেট।

এরপর অবশ্য দিনের বাকি খেলায় আর উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে। অধিনায়ক মুমিনুলের সাথে ক্রিজ আকড়ে ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। দিন শেষে ৫০ বলে ৩১ রানে মুমিনুল ও ২৩ বলে ১০ রানে মুশফিকুর রহীম আছেন অপরাজিত।

এর আগে দুই উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ অল আউট হয় ২৫৯ রানে। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন অধিনায়ক ব্রাথওয়েট। ৬৮ রান করেন ব্লাকউড। জশুয়া ৪২ ও মায়ার্স ৪০ রান করেন। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মোস্তাফিজ, তাইজুল ও নাঈম নেন দুটি করে উইকেট।