মৃত্যুদন্ড-যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামি খালাস

মৃত্যুদন্ড-যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামি খালাস

মৃত্যুদন্ড-যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামি খালাস-সংগৃহীত ছবি

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের বাদল সরদার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স খারিজ এবং আসামিদের আপিল গ্রহণ করে রায় দেয় আদালত।

আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ, শেখ আলী আহমেদ খোকন, মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন বলেন, হত্যাকান্ডের সময় এই মামলার এক আসামি অন্য মামলায় জেলে ছিলেন। কিন্তু একজন সাক্ষী জেলে থাকা ওই আসামির বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দেয়। এরকম কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েই হাইকোর্ট আজ খালাসের রায় দিয়েছে। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভিটাবাড়িয়া গ্রামের জালাল সরদারের ছেলে বাদল সরদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০০৩ সালে আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের এক আদেশে মামলাটি পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১ জুলাই ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত ওই মামলায় রায় দেয়। সেই রায়ে ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের শহীদ শিকদার, দুলাল শিকদার, বাদল শিকদার ও নিজাম শিকদারকে মৃত্যুদন্ড এবং ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সালাম সরদার, উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের হারুন শিকদার ও মিনু সিকদারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত।

রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা আপিল করেন হাইকোর্ট বিভাগে।

সূত্র : বাসস