ইউল্যাব শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জামিল রিমান্ডে

ইউল্যাব শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জামিল রিমান্ডে

ইউল্যাব শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জামিল রিমান্ডে-প্রতীকী ছবি

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী শাফায়াত জামিলের (২২) এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চান। ঢাকার মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শাফায়াত জামিল। ওই দিন আদালতে হলফনামা দিয়ে মামলায় সম্পৃক্ততার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। এরপর বিচারক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাত নামে এক বন্ধুর বাসায় যান মর্তুজা রায়হান নামে তার আরেক বন্ধু। সেখান থেকে তারা তিনজন উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। ওই স্থানে আগে থেকেই মামলার আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। তারা ওই তরুণীকে জোর করে অধিক মাত্রায় মদপান করান। মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল। ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পর দিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছিলেন নিহত তরুণীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো একজনকে আসামি করা হয়।