সিরিজ বোমা হামলা : সাতক্ষীরায় ১৭ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

সিরিজ বোমা হামলা : সাতক্ষীরায় ১৭ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

ছবি : ইউএনবি

সাতক্ষীরায় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট চালানো সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ১৯ আসামির মধ্যে আটজনকে পৃথক মামলায় ১৩ বছর করে এবং ৯ জনকে ৯ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রায়ে আবুল খায়ের নামে একজনকে খালাস দেয়া হয়। আরেক আসামি ইতোমধ্যে মারা গেছেন।সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: শরিফুল ইসলাম বুধবার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত অসামিরা হলেন- মনিরুজ্জামান, নুর আলী, গিয়াস উদ্দিন, ইসমাইল হাবিবুর, বিল্লাল হোসেন, মুনতাজ, মাহববর রহমান লিটন, রাকিব হোসেন, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আসাদুর রহমান, আনিসুর রহমান, আলমগির হোসেন, নাসিরউদ্দিন, ফখরুদ্দিন রাজি, অসাদুজ্জামান ও নাঈমুদ্দিন। তাদের মধ্যে শেষের তিনজন পলাতক।

দেশব্যাপী উগ্রবাদীগোষ্ঠী জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার সময় সাতক্ষীরার পাঁচটি স্থানে এ হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা ছয় মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন মঙ্গলবার শেষ হয়। পরে বিচারক শরিফুল ইসলাম বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল লতিফ জানান, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সাতক্ষীরা শহীদ রাজ্জাক পার্ক, জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও খুলনা মোড়সহ পাঁচটি স্থানে একযোগে এই বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর ঘটনা ঘটে।

ঘটনার দিনই প্রত্যক্ষদর্শী বাঁকাল ইসলামপুর চরের রওশানের বিবরণ মতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বোমা হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত বাঁকালের দলিলউদ্দিন দফাদারের ছেলে নাসিরুদ্দিন আটক হন। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত এবং ১৩ জনকে আটক হয়। পরে তাদের ঢাকায় জেআইসিতে (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া ছাড়াও জেএমবির বহু গোপন তথ্য জানান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের সাতক্ষীরায় ফিরিয়ে আনা হয়।

পরে ২০০৬ সালের ১৩ মার্চ এসব মামলায় চার্জশিট দেয় সিআইডি। সে বছরই মামলাগুলো খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু যথা সময়ে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৭ সালের ২৫ জুন মামলাগুলো খুলনা থেকে ফেরত আসে সাতক্ষীরায়। এরপর ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মামলাগুলোর বিচার কাজ শুরু করা হয়।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের মধ্যে শায়খ আবদুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় চার্জশিট করার সময় তাদের এসব মামলার আসামির তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।

সূত্র : ইউএনবি