বাস সংকট: গাদাগাদি করে এসে কুবিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে পরীক্ষা!

বাস সংকট: গাদাগাদি করে এসে কুবিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে পরীক্ষা!

স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: কুবি প্রতিনিধি

পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা সরবরাহ নিশ্চিত না করে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। করোনা পরিস্থিতিতেও গাদাগাদি করে শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির আশংকা করছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা সংকটে বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তীব্র সেশনজটের শঙ্কায় পড়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে গেল বছরের ২০ ডিসেম্বর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে ধাপেধাপে অন্যান্য সেমিস্টারেরও আটকে থাকা চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবকটি বিভাগেই বিভিন্ন সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান। তাছাড়া শেষবর্ষ থেকে শুরু করে প্রথমবর্ষ পর্যন্ত অন্তত ৮০ শতাংশ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার রুটিন ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশের রুটিনও শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের মিডটার্মও চলমান। পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা না থাকায় প্রায় সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত কুমিল্লা শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন। তবে পর্যাপ্ত বাসের অভাবে প্রায়ই গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয় তাদের। 

এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন লিখালিখি করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বলেন, 'করোনার মধ্যেও আমাদেরকে গাদাগাদি করে বাসে যাতায়াত করতে হয়। অথচ বাকি বাসগুলো অব্যবহৃতই পড়ে আছে। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?' আমরা পরীক্ষার হলে সামাজিক দূরত্ব দেখলে ও আসা যাওয়ার বাসে এই অবস্থা খুবই নাজুক। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলসূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয়কৃত আটটি শিক্ষার্থী বাস থাকলেও বর্তমানে পাচঁটি বাস শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করছে। বাকি কয়েকটি বাসই অব্যবহৃত পড়ে আছে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড মো. আবু তাহের বলেন, 'বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টি বাস চলাচল করলেও চাহিদার আলোকে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ব্যাপারে আমি পরিবহন পুলের সাথে কথা বলবো।'