পিকে হালদার কিভাবে দেশত্যাগ করেছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

পিকে হালদার কিভাবে দেশত্যাগ করেছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

দেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ জালিয়াত পিকে হালদাররের(প্রশান্ত কুমার হালদার)  পাসপোর্ট জব্দ করার পরও কিভাবে দেশত্যাগ করেছে এবং তাকে দেশত্যাগে  সহায়তাকারী ইমিগ্রেশন, পুলিশ ও দুদকের কর্মকর্তাদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগে ২০১০ সাল থেকে কর্মরত ৩৯৪ জন কর্মরত কর্মকর্তাদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিলের পর আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

একই সাথে মামলায় আসামিদের জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপের বিষয়েও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন বিভাগে গত ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাদের নাম, পদবী, ঠিকানা সরবরাহ করতে গত ২১ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সময়ে অর্থপাচার রোধে এসব কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা আছে কিনা এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছিল। তবে তাদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তালিকা দাখিলে আগামী ১৫ মার্চ দিন নির্ধারণ করলেন।

উল্লেখ্য, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা তদন্তে রয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক খাত থেকে আত্মীয়-স্বজন চক্রের মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেয়ার কারিগর পিকে হালদারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অফিসিয়াল তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।