পরবর্তি মিশন সম্পর্কে জানালো নাসা

পরবর্তি মিশন সম্পর্কে জানালো নাসা

২০২২ সালে নাসার যান বৃহস্পতির কক্ষপথে প্রবেশ করবে।

ফেব্রুয়রি মাসেই মঙ্গলে নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড কার নামাবে নাসা। তারপর বৃহস্পতিতে যাওয়া নিশ্চিত করেছে তারা। ২০২২ সালে এই এজেন্সির যান বৃহস্পতির কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এই দুটি মিশনকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে “ফ্ল্যাগশিপ”। দু’টিরই বাজেট মাল্টি বিলিওনিয়ার ডলার। নাসা এই মিশনগুলিকে “civilisation-scale science” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। এই সৌরজগতের আর কোথাও প্রাণের সন্ধান রয়েছে কিনা তা জানতে গবেষণা চালাচ্ছে নাসা।
 
জীবের সন্ধানের জন্য ফলো-আপ মিশন প্রয়োজন। একটি মিশনে মঙ্গল গ্রহ থেকে মাটি সংগ্রহ করে বোতলে ভরে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে। বৃহস্পতির উপগ্রহে কোথায় প্রাণের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে তারও সন্ধান করবে নাসা। বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপার আইস সেলে একটি ল্যান্ডার পাঠানো হবে। সেখানে কোনও প্রাণের সন্ধান রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। মঙ্গল ও ইউরোপা- এই দুই মিশনের ক্ষেত্রে কোটি কোটি ডলার খরচ হবে। এর প্রস্তুতি নিতেও বহু বছর লেগেছে।

এই দুটি ফলো আপ মিশন মানবসমাজকে বিজ্ঞান, ধর্ম এবং দর্শনের সমস্ত ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ফল সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার খুব কাছাকাছি নিয়ে যাবে। এ নিয়ে কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই যে এটি শেষ হবে তা বলাই বাহুল্য। এর পরের মিশনেই নাসা এই দুটি কাজ শেষ করতে চায়। অতএব যত শীঘ্র সম্ভব কাজ করা হচ্ছে। তবে নাসা এভাবে কাজ করে, তা নয়। কিন্তু এই সৌরজগৎ বেশ বড়। মঙ্গল ও ইউরোপার বাইরে নাসর বেশ কয়েকটি মিশন পাইপলাইনে রয়েছে। তাই এই দ্রততা।
 
নাসা সম্পূর্ণ শূন্য অবস্থায় এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। এই গ্রহ বিজ্ঞান সংক্রান্ত সম্প্রদায় নিজেরাই একটি ফর্মাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুসন্ধানের কথা বলেছে। এর ফলস্বরূপ যা আসবে তাকে বলা হয় ডেকাডাল সার্ভে। প্রতি ১০ বছরে ন্যাশনাল অ্য়াকাডেমি অফ সায়েন্সের ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল কিছু বিশেষজ্ঞকে ডেকে পাঠায়। পরবর্তী কী আবিষ্কার করা হবে ও কীভাবে করা হবে তা নিয়ে গ্রহ বিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিকদের একটি সাদা কাগজে লিখতে হয়। এই প্রক্রিয়া ও তথ্যকে বলে প্ল্যানেটারি সায়েন্স ডেকাডাল সার্ভে। এর পরের ডেকাডাল সার্ভে হবে ২০২৩-৩২ সালের মধ্যে।