বগুড়ায় শহীদ মিনারে এমপি সিরাজের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

বগুড়ায় শহীদ মিনারে এমপি সিরাজের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ায় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে ফেরার পথে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদরের সংসদ সদস্য গোলাম মো: সিরাজসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগ হামলার কথা অস্বীকার করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো: সিরাজের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের শহীদ খোকন পার্কের কেন্দ্রীয় মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এরপর এমপি সিরাজসহ নেতৃবৃন্দ পার্কে দাঁড়ালে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অন্য দল শহীদ বেদীতে ফুলের শ্রদ্ধা জানাতে থাকে। এমন সময় পার্কে অবস্থানকারী ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী এমপি সিরাজের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক স্লোগান দিতে থাকে। তখন এমপিসহ নেতৃবৃন্দ পার্ক থেকে দলীয় কার্যালয়ের দিকে রওনা হন।

এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জয়বাংলা স্লোগান দিতে দিতে তাদের ওপর হামলা করে। তখন এমপির নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৪-৫ জন পুলিশ তাকে দ্রুত সদর পুলিশ ফাঁড়িতে নেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশ ফাঁড়ির প্রধান গেটের সামনে কটূক্তি করে স্লোগান দেয় এবং বিএনপি, শ্রমিকদল ও যুবদলের ৮-১০ জনকে কিল-ঘুষি, হেলমেট, লাঠি ও জুতা পেটা করে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, বগুড়া জেলা শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন স্বপন, বগুড়া শহর শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি শামসুচ্ছামান শামছু মণ্ডল, যুবদলের প্রবালসহ কয়েকজন আহত হন।

পুলিশ কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগকে সরিয়ে দিয়ে সিরাজসহ নেতৃবৃন্দকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়। এরপর নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। সেখান থেকে পুলিশী নিরাপত্তায় এমপি সিরাজ দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন।এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদরের সংসদ সদস্য গোলাম মো: সিরাজ জানান, ভাষা শহীদদের স্মরণের দিনে হামলার ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। ছাত্রলীগের পক্ষেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো সম্ভব।

এ ব্যাপারে সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ জানান, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানি না।

এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, ছাত্রলীগকে ঘটনার পরই সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশী নিরাপত্তায় এমপিকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।এদিকে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম।