পারসিভিয়ারেন্স রোভারের হাইরাইস ক্যামেরায় মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার মুহুর্ত (ভিডিও)

পারসিভিয়ারেন্স রোভারের হাইরাইস ক্যামেরায় মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার মুহুর্ত (ভিডিও)

জেজেরো ক্র্যাটারের মাটি ছুঁয়ে সফল হয়েছে নাসার মঙ্গলাভিয়ান। সেই ছবিই আসছে নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে। -সংগৃহীত ছবি

একের পর এক ছবি আসছে। ধীরে ধীরে পৃথিবীর সামনে উদ্ভাসিত হচ্ছে লাল গ্রহের ছবি। নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভারের হাইরাইস ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তের ছবি। কীভাবে মঙ্গলের মাটি ছুঁয়ে ছিল পারসিভিয়ারেন্স রোভার। জেজেরো ক্র্যাটারের মাটি ছুঁয়ে সফল হয়েছে নাসার মঙ্গলাভিয়ান। সেই ছবিই আসছে নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে। ১৮ই ফেব্রুয়ারি পারসিভিয়ারেন্স রোভারের হাইরাইস (High Resolution Imaging Experiment (HiRISE)) ক্যামেরায় তোলা ছবি প্রকাশ করেছে নাসা।

হাই রেজোলিউশন ইমাজিং এক্সপেরিমেন্ট বা হাইরাইস ক্যামেরায় দেখা গেছে প্যারাশুটের ছবি। এই ক্যামেরা পারসিভিয়ারেন্স থেকে ৪৩৫ মাইল দূরে রয়েছে। প্রতি ঘন্টায় ৬৭৫০ মাইল বা প্রতি সেকেন্ডে ৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করছে। মঙ্গলগ্রহে গভীর এক গর্তে নেমেছে রোবট। জানা গিয়েছে, ছয় চাকার এই যান আগামী দু’বছর মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করবে। মঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাণের সন্ধান চালাবে এই মহাকাশযানটি। অতীতেও মঙ্গলে অণুজীবের অস্তিত্ব ছিল কিনা তার সন্ধান চালাবে নাসার পাঠানো এই রোভার।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, রোভারটি মঙ্গলগ্রহের উপরে থাকা ব-দ্বীপের মত চেহারার একটি অংশের দুই কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে। আগামী দু বছর এই এলাকাটিতেই পারসিভেয়ারেন্স প্রাণের সন্ধান চালাবে। নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমান, মঙ্গলগ্রহে পাথরের যে কোনও রকম অণুজীবের অস্তিত্ব সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। ফলে অতীতে যদি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থেকেও থাকে, তাহলে এই পাথরের মধ্যে তার ইঙ্গিত মেলার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

মঙ্গলগ্রহে কোটি-কোটি বছর আগে যে হ্রদ ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে সেখানে পলির মত সেডিমেন্ট দেখা গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা লালগ্রহের এই অংশটি নিয়ে খুভই উৎসাহিত। এই এলাকাটি রোভাররের মারফত খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে চান বিজ্ঞানীরা। তবে মঙ্গলগ্রহের বর্তমান আবহাওয়া বেঁচে থাকার অনুকূল নয় বলেই জানাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। সেখানে আবহাওয়া এতই ঠাণ্ডা যে জল সেখানে তরল অবস্থায় থাকতে পারে না। তাছাড়া মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলের স্তরও খুবই পাতলা।
 
সেই কারণেই সূর্যের চড়া আলোকরশ্মি এখানে পড়লে মাটির উপরিভাগের সব কিছু ধ্বংস করে দেয়। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলগ্রহের এখনকার পরিবেশের তুলনায় কয়েকশো কোটি বছর আগেকার ছবিটা এক ছিল না। সেই সময় মঙ্গলে জল ছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নাসা নিজেদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ও ইউটিউবে একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে।