ফরিদপুরের দুই ভাইয়ের ৫৭০৬ বিঘা জমি ও ৫৫ গাড়ি ক্রোকের নির্দেশ

ফরিদপুরের দুই ভাইয়ের ৫৭০৬ বিঘা জমি ও ৫৫ গাড়ি ক্রোকের নির্দেশ

ফরিদপুরের দুই ভাইয়ের ৫৭০৬ বিঘা জমি ও ৫৫ গাড়ি ক্রোকের নির্দেশ

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (বহিস্কৃত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ৫ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি, ৫৫ গাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে জমি, গাড়ি ক্রোক ও টাকা ফ্রিজের আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। গাড়ির মধ্যে রয়েছে- বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, নিজেদের ব্যবহৃত প্রাইভেট। পাশাপাশি ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।

রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সে হত্যা মামলার আসামি ছিলেন এ দুই ভাই।

এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এ দুই ভাই অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।