ইবি ছাত্রলীগ নেতা বাবুকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র

ইবি ছাত্রলীগ নেতা বাবুকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র

ছাত্রলীগ নেতা শিশির ইসলাম বাবু

ইবি প্রতিনিধি- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির ইসলাম বাবুকে বিতর্কিত করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ছাত্রলীগের আন্দোলন বিতর্কিত করতে বাবুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন প্রশাসনের কতিপয় কর্তা ব্যক্তি। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে নেতা হবার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় তার বহিস্কার ও কমিটি বাতিলের আন্দোলনে নামে বাবুসহ ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। কিন্তু তাদের আন্দোলন ও ইবি শিক্ষার্থী বাবুকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে শুরু করেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগের ক্রান্তিকালে রাজনীতি করতে গিয়ে শিবির কর্তৃক একাধিক মামলার আসামী হন শিশির ইসলাম বাবু। ২০১১ সালে শিবির বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। সেখানে তাকে মামলার ২৭ নং আসামী বানানো হয়। এছাড়া বিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মী ও পুলিশি নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে বাবুকে। অপর দিকে ক্যাম্পাস থেকে শিবির তাড়াতে বাবুর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে বেগবান করতে শিবিরের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যে বাবু রাজনীতি করেছে তাকেই এখন প্রশাসন প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে। ক্যাম্পাসের অতি পরিচিত মুখ ও ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মীকে নিয়ে কিছু নামধারী সংবাদ মাধ্যমে বিতর্কিত সংবাদ পরিবেশ করা হয়েছে। এভাবে ত্যাগী নেতাকে নিয়ে অপরাজনীতি করায় ক্ষিপ্ত হয়েছে ছাত্রলীগ ও শিক্ষকরা। বর্তমানে ইবির ছাত্রলীগের কমিটির নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে দুর্নীতিবাজের মুলহোতা নামে পরিচিত প্রক্টর ও কতিপয় প্রশাসিনিক কর্তা ব্যক্তি বাবুকে টার্গেট করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রাইভার নিয়োগ বাণিজ্য এবং ৪০ লাখ টাকায় ইবির নেতা হবার রেকর্ড ফাস হয় পত্রপত্রিকায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাকিবের বহিস্কার ও ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করার পরই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তারা। তার নেতৃত্বে চলমান আন্দোলন থামিয়ে দিতে বাবুকে অছাত্র ও বহিরাগত উল্লেখ্য করে অপপ্রচার শুরু করেছে তারা।

এ বিষয়ে শিশির ইসলাম বাবু জানান, ‘রাকিব এবং পলাশকে বাঁচানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর আমাদের বিরুদ্ধে লেগেছে। আমরা যারা ন্যায়নীতি এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে মাঠে আছি তাদেরকে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে রাকিবকে মদদ দেয়া এই প্রশাসন।