সবার জন্য ভ্যাকসিন, খাদ্য, আশ্রয় নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

সবার জন্য ভ্যাকসিন, খাদ্য, আশ্রয় নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। - ছবি : সংগৃহীত

এই কোভিড-১৯ মহামারীতে সরকারের অগ্রাধিকার হলো ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের খাদ্য ও আশ্রয় নিশ্চিত করা। আমাদের অগ্রাধিকার সম্পর্কে ভাবা দরকার। আমাদের অগ্রাধিকার হলো খাদ্য এবং আশ্রয় দেয়া। বাজেটের এই পর্যায়ে, আমি মনে করি না অতিরিক্ত তহবিল (বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের) অনুমোদনের কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে।

মঙ্গলবার (০২ মার্চ) এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত বরাদ্দের দাবি জানানোর এটা সঠিক সময় (মহামারীজনিত কারণে) নয় ... তবে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’

করোনাভাইরাসের ফলে বিশ্বজুড়ে স্থবির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বর্তমান পরিস্থিতিকে সংকটপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, সরকারের কাছে এখন বড় বিষয় হলো কোভিড-১৯ এর কারণে জনগণ যাতে ভোগান্তির শিকার না হন তা নিশ্চিত করা। খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার ঘাটতি যেন না হয় এবং যোগ্য সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা।

‘তারা (জনগণ) যাতে উন্নত জীবনযাপন করতে পারে এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আমাদের সেটা নিশ্চিত করাই অগ্রাধিকার।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছে এবং দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য এটি নিশ্চিত করতে আরো বেশি সংগ্রহ করবে।

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রথম দিনগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সরকার পরবর্তী সময়ে কী হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল।

‘শেষ পর্যন্ত আমরা কিছু সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছি যাতে আমরা আমাদের উন্নতির ধারা বজায় রাখতে পারি। যারা অতিরিক্ত তহবিলের জন্য প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন তাদের মনে রাখা উচিত, আমরা আমাদের দেশকে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চালিয়ে নিচ্ছি,’ তিনি বলেন।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, গ্রামাঞ্চলের মানুষ যাতে খাদ্য, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সুবিধা এবং নিরাপত্তা সহজেই পেতে পারে সেজন্য সরকারকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

সূত্র : ইউএনবি