বাংলাদেশ-মালদ্বীপ বিমান ও নৌ সংযোগ স্থাপনের ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ বিমান ও নৌ সংযোগ স্থাপনের ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ বিমান ও নৌ সংযোগ স্থাপনের ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ- ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ এবং বিমান ও নৌপথ সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

রাষ্ট্রপতি সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ উভয় দেশের জন্য পর্যটনকে একটি অত্যন্ত উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের দুটি রাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।

এ বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এর পরে অনুষ্ঠিত নৈশভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম এবং মালদ্বীপের ফাস্ট লেডি ফাজনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় তিন দিনের সফরে আগত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সম্মানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ নৈশভোজের আয়োজন করেন।

মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তে মালদ্বীপ সরকারের প্রশংসা করে, রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন পেশায় আরও দক্ষ জনবল মালদ্বীপে প্রেরণে প্রস্তুত রয়েছে।’ মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও প্রযুক্তির শিক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আরও বেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।’ বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারকের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের এই সফর দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মালদ্বীপকে বাংলাদেশ থেকে মেডিসিন, রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) এবং সিরামিকসহ আন্তর্জাতিক মানের-বাংলাদেশী পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে উভয় দেশই লাভবান হবে।

প্রেসিডেন্ট সোলিহ বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিমান ও জল-যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, এটি আগামীতে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিয়িাগ সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।

সোলিহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে চলমান অভূতপূর্ব অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। পরে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। তিনি বঙ্গভবনের দরবার হলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উপস্থাপিত ২৫ মিনিটের দীর্ঘ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. একে আবদুল মোমেন, তার মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল্লা শহীদ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, রাষ্ট্রপতি হামিদ তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম বঙ্গভবনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট এবং ফাস্ট লেডি সজনা আহমেদকে স্বাগত জানান।

এদিকে, বৈঠকের পাশাপাশি মালদ্বীপের ফাস্ট লেডি ফজনা আহমেদ বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তারা মতামত বিনিময় এবং একে অপরের কুশল বিনিময় করেন। -বাসস