পাবিপ্রবিতে শিক্ষকের আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাবিপ্রবিতে  শিক্ষকের আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি : প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কর্মকর্তাদের নিয়ে ফেসবুকে একজন শিক্ষকের আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুঁসে ওঠেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সোমবার(২২ মার্চ) ক্যাম্পাসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল আলীম কর্তৃক দাপ্তরিক গোপন নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধন সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২ টায় শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় প্রায় চার শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ই-মেইলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে এ সংবাদ। পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ্, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ ফজলুল হক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (চলতি দায়িত্ব) তাওহীদা খানম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ হাসিবুর রহমান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোঃ কামরুল হাসান, জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর মোঃ ফারুক আহম্মেদ, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহরিয়ার হোসেন পাভেল।

মানববন্ধনে রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কাজ করে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আঘাত মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্য অনুমতি ব্যতীত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। একজন শিক্ষকের এহেন কর্মকান্ডে আমরা শিক্ষক সমাজ লজ্জিত।

অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ্ বলেন, আমরা এমন কোন কাজ করবোনা যাতে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট এবং প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দাপ্তরিক তথ্য প্রচার করা আইনত অপরাধ। অনুমোদন ব্যতীত কেউ দাপ্তরিক তথ্য প্রকাশ করতে পারে না।

অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ হারুনর রশিদ ডন বলেন, এমন কোন কিছু করবেন না যাতে আমরা আপনাকে বয়কট করতে বাধ্য হই। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে শাস্তি দাবি জানান।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বাঁধাগ্রস্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশবাসীর সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই তিনি বারবার প্রশাসনের গোপন নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রকাশ করে যাচ্ছেন। বেশ কিছুদিন যাবত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। সকলকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। এই অপশক্তিকে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে সামগ্রিকভাবে প্রতিহত করতে হবে।

মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহাগ হোসেন।