বিজেপিকে এপ্রিল ফুল করে দিন : মমতা

বিজেপিকে এপ্রিল ফুল করে দিন : মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিনে তিনটি সভা করেছেন। সভাগুলোয় দেয়া বক্তব্যে তিনি বিজেপিকে আগামী ১ এপ্রিলে ‘এপ্রিল ফুল’ করে দেয়ার কথা বলেছেন। সোমবার বাঁকুড়ার কোতলপুর, ইন্দাস ও পুরুলিয়া জেলার বড়জোড়ায় আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বোনেরা দিচ্ছে উলুধ্বনি, ভাইয়েরা দিচ্ছে তালি। আসুন আমরা বাংলা থেকে বিজেপি-কে করি খালি। খেলা হবে। পিএমকেয়ার্সের টাকা কোথায়? নরেন্দ্র মোদি জবাব দাও। রেল কেন বিক্রি করা হচ্ছে? নরেন্দ্র মোদি জবাব দাও। বিএসএনএল কেন বিক্রি হচ্ছে? নরেন্দ্র মোদি জবাব দাও।

মমতা বলেন, আগেরবার ভোট নিয়ে পালিয়ে গেলো। এবার আসানসোলের এমপি টালিগঞ্জে লড়তে গেল। আগেরবার জেতার পর কোনো কাজ করেছে? দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি। এখন নিজের নামে স্টেডিয়াম করছে। কোনো একদিন দেশের নামও বদলে দেবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ লাখ বেকারের চাকরি দেব। আমরা দারিদ্র অনেক কমিয়ে দিয়েছি। এই কাজ করতে আপনাদের দোয়া-আশীর্বাদ সব প্রয়োজন। বিজেপি গড়বে বাংলা? আমরা সব বাচ্চাদের বইয়ের ব্যাগ দেই। স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, সব দেই। শুধু একটা দরখাস্ত করতে হবে। দু’ মাস করে ‘দুয়ারে সরকার’ হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা নাসা থেকে ভাষা জয় করেছে। পড়ুয়াদের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ক্রেডিট কার্ড করে দেব।’

মমতা আরো বলেন, ‘হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ করা হবে। আরো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। আমি চাই না, কেউ ১৮ বছর বয়সে বিধবা হয়ে যাক। তবে ১৮ বছর বয়স থেকে সব বিধবারা পেনশন পাবেন। কৃষকরা মে মাস থেকে পাঁচ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন। মে মাস থেকে আমরা দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেব। নরেন্দ্র মোদি সরকার অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দিয়েছে? আমাদের দাবি, নরেন্দ্র মোদি সরকার বিনা পয়সায় গ্যাস দাও। আমাদের রান্না করে খেতে দাও।’

তিনি বলেন, ‘আমার একটা পা ভালো আছে। আর একটা পা খারাপ। মা-বোনেরা দু’টি ভালো পা দিয়েই লড়বে। নির্বাচনে জিততে না পারলে বহিরাগত গুণ্ডারা সব লুট করবে। সব বিক্রি করে দেবে। খাবেন কী?’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে আগেও অনেকবার মেরেছে। আমার পায়ে চোট লাগবে, আমি ভাবতে পারিনি। যতক্ষণ আছি, মানুষের কাজ করে যাবো। আমাকে বলতে হয় না, মানুষের সাহায্য করি। আমি যেন কখনো মানুষের থেকে নিজেকে সরিয়ে না নেই। মানুষের দুঃখকে নিজের মনে করি।’

মমতা বলেন, এটি দিল্লির নির্বাচন নয়। এটি বাংলার নির্বাচন। বাংলার কৃষকের ভবিষ্যতের লড়াই। বাংলার শিল্পের ভবিষ্যতের লড়াই।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা