ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলার মোচা!

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলার মোচা!

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলার মোচা-

কলা আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কতটা জরুরি তা সবাই জানি। তবে কলার ফুলও যে শুধুই সুস্বাদু তা নয়, এতেও রয়েছে হাজার পুষ্টিগুণ। তাই মোচাকেও এবার থেকে আর অবহেলা নয়। কারণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে কলার মোচা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
 
মা-বোনেদের রান্নার ডায়েরির পাতা উল্টালেই কলার মোচা রান্নার হাজার খুঁটিনাটি বা পদ পেয়ে যাই আমরা। কিন্তু আগেকার দিনের মতো এর আর তেমন দাম নেই খুব একটা। কারণ মোচা রান্না করা বড়ই ঝামেলার ব্যাপার। তাই এখনকার আধুনিক নারীরা অফিস বাড়ি সামলে আর সেই সময় পান না আলাদা করে মোচা ছাড়িয়ে রান্না করে পরিবারকে তৃপ্ত করার। কিন্তু সপ্তাহের একটা ছুটির দিনে এমন খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা।

আজ জেনে নিন মোচার এমন এক রেসিপি যা সচরাচর শোনা যায় না। ইলিশ, ভেটকির পর এবার পাতে পড়ুক “মোচার পাতুরি”।
 
কী কী লাগবে: ১০০ গ্রাম সেদ্ধ করে নেওয়া মোচা, ২ চামচ পোস্ট ও সর্ষে বাটা, ২ চামচ কোরানো নারকেল, লবণ ও চিনি স্বাদ মতো, কলাপাতা, সর্ষের তেল, পরিমাণ মতো কাঁচা মরিচ বাটা।

প্রণালী: সেদ্ধ করে রাখা কলার মোচা শিলনোড়া বা মিক্সিতে ভালো করে বেটে নিন যেন মিহি দানা হয়ে যায়। মোচা বাটার সঙ্গে লবণ-চিনি, সর্ষে-পোস্ত বাটা ও নারকেল কোরা মিশিয়ে রেখে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। ম্যারিনেট হতে দিন।

মোচা বাটার মাখার সাথে পরিমাণ মতো লঙ্কা বাটা ও সর্ষের তেল মাখিয়ে নিন। কলাপাতার মধ্যে ২ চামচ মোচা বাটা নিয়ে পাতুরির মতো পাতাটিকে মুড়ে নিয়ে দুই প্রান্তে টুথপিক গেঁথে নিন প্রয়োজন মতো যাতে পাতাটি না খুলে আসে। কলাপাতাটি ৩০ সেকেন্ড গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারলে এতে পুর ভরতে সুবিধা হবে। এবার প্যানের চারপাশে সর্ষের তেল মাখিয়ে নিয়ে প্যান গরম করে কলাপাতায় মোড়া ওই মোচা বাটা এপিঠ ওপিঠ করে সেঁকে নিতে হবে ভাল করে। ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন হয়েছে কিনা। শেষে হয়ে এলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম মোচা পাতুরি। রান্নাটি নিরামিষ হওয়ায় যে কোনো দিন আর যে কেউ খেতে পারেন নির্দ্বিধায়। -কোলকাতা২৪