বাজেটে বিড়ি সিগারেট কর বৈষম্য দূর করার প্রস্তাব

বাজেটে বিড়ি সিগারেট কর বৈষম্য দূর করার প্রস্তাব

বাজেটে বিড়ি সিগারেট কর বৈষম্য দূর করার প্রস্তাব-

আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি ও সিগারেটে কর বৈষম্য দূর করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি। বৃহষ্পতিবার (২৫ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। এসময় বক্তারা বিদেশী সিগারেট কোম্পানীকে বাজেটে আনুকূল্য দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম এর সভাপতিত্বে প্রাক বাজেট আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের মেম্বর ও কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা মুহাম্মদ আব্দুস সবুর, সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি মায়া গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রংপুর কাউনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আনারুল ইসলাম মায়া, সমিতির সহ-সভাপতি ও রহমান বিড়ির চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মজিবর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম দিনার, ভরসা গ্রুপের পরিচালক আক্তারুল হক ভরসা প্রমুখ।

প্রাক বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা মুহাম্মদ আব্দুস সবুর বলেন, “বিড়ি ও সিগরেট দুটো একই জাতীয় পণ্য। কিন্তু শুল্কের বিষয়ে একই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখিনা। ফিল্ডটা অসম হয়ে যায়। বিগত ট্যাক্সে দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিদেশী সিগারেটকে খুশি করেছে কিন্তু দেশীয় বিড়ি শিল্পের খুশি রাখেননি। আমরা ভিক্ষা চাচ্ছিনা কিন্তু সাম্যতা চাচ্ছি। এ অসাম্যতার রয়েছে লম্বা ইতিহাস। বিড়ি সিগারেটে শুল্ক অসাম্যতা বিগত দশ/বার বছর ধরে হচ্ছে সেটা সবাই জানে। জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬ তে শ্রমঘন শিল্প হিসেবে বিড়ি শিল্পের আনুকূল্য পাওয়ার কথা। কিন্তু সরকার নিজের শিল্পনীতি নিজেই লঙ্ঘন করছে।  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সিগারেটের প্রতি যেমন আনুকূল্য দেখাচ্ছে বিড়ির প্রতি আনুকূল্য না দেখালেও সাম্যতা দেখানোর অনুরোধ করছি।”

তিনি আরও বলেন,“অনলাইন লাইসেন্স দেওয়ার নামে ভূয়া লাইসেন্সে বাজার ছেয়ে গেছে। ফলে বাজারে নকল বিড়িতে সয়লাভ হয়ে গেছে। এতে যেসব বিড়ি মালিক ট্যাক্স দিচ্ছে তাদের প্রেশার বাড়ছে যারা দিচ্ছেনা তারা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, যে দেশে টাকা নকল হয় সে দেশে ব্যান্ডরোল নকল হচ্ছে। এতে যারা আসল ব্যান্ডরোল কিনছে তারা মাত্রাতিরিক্ত শুল্কের কারণে দ্বিগুণ শাস্তি পাচ্ছে।”