কাউন্সিলরের ক্যাসিনো প্রিতি: বিব্রত নন মেয়র

কাউন্সিলরের ক্যাসিনো প্রিতি: বিব্রত নন মেয়র

মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন

তারিক বিন নুরু, সিনিয়র রিপোর্টার
ঢাকা: রাজধানীসহ সারা দেশে এখন গরম খবর ক্যাসিনো  ব্যবসা। এমনই এক খবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তবে কাউন্সিলরদের অভিভাবক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তাতে মোটেই বিব্রত নন।  তিনি বলেছেন, "এ ধরণের কর্মকান্ড হতে পারে, তবে আমাদের দৃঢ়তার সাথে সেটা মোকাবেলা করতে হবে। এখানে বিব্রত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করব, সহযোগিতা করব।" এই অভিযানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে থাংক ইউ পিএম বলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের বৈঠক শেষে নগর ভবনে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র একথা বলেন।
ক্যাসিনো ও শুদ্ধি অভিযানের বিষয়ে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন দিচ্ছে, তার নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকল সংস্থা যেভাবে কাজ করছে, সেই কাজের প্রতি এই শহরসহ সারাদেশের মানুষের সর্বাত্মক সমর্থন রয়েছে। দেশবাসী আশা করে এই অভিযান একটা সফল পরিণতির মধ্য দিয়ে দেশ পরিচ্ছন্ন হবে, সুস্থ ধারায় ফিরে আসবে। প্রধানমন্ত্রীকে সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে আমরা বলতে পারি থ্যাংক ইউ পিএম। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাউন্সিলরের ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়ে বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, আইনের কোনো ব্যত্যয় হবে না। যে যত বড় জনপ্রতিনিধি হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা শূণ্য সহিষ্সুতা প্রদর্শন করে যাচ্ছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে। যদি কোন কাউন্সিল এ ব্যাপারে জড়িত থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মেয়র হিসেবে আমি সাহায্য সহযোগিতা করবো।

মেয়র হিসেবে বিব্রত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,এ ধরণের কর্মকান্ড হতে পারে তবে আমাদের দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করতে হবে। এখানে বিব্রত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করব, সহযোগিতা করব।
তিনি বলেন,আমার একজন কাউন্সিলরের শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপারে আমাদের বোর্ড সভায় প্রশ্ন উঠেছে। তিনি ধারাবাহিকভাবে বোর্ড সভায় অনুপস্থিত ছিলেন, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তিনি অনুমতি ব্যতিরেকে বিদেশ ভ্রমণ করছিলেন। তাই তিনি যাতে অনুমতি ব্যতিরেকে বিদেশ ভ্রমণ করতে না পারেন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে সেটার জন্য অবহিত করা হয়েছে।