প্রশাসন সরকার সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে : টুকু

প্রশাসন সরকার সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে : টুকু

ছবি: সংগৃহিত

রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রিটা রহমান এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, প্রশাসন ও সরকার এই নির্বাচনেও তাদের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। তারা কোন আচরণবিধি মানছেন না। ভোটাররা শঙ্কায় আছেন ভোট ৫ তারিখে হবে, নাকি ৪ তারিখ গভীর রাতেই শেষ হয়ে যাবে।  

বুধবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসবকথা বলেন। এ সময় বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, লেবার পার্টির সভাপতি ড. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ওয়াসিম, যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক, রংপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর যুবদল সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা যুবদল সেক্রেটারি সামসুল হক ঝন্টু, মহানগর সেক্রেটারি লিটন পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

লিখিত বক্তব্যে টুকু বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি। এই নির্বাচনেও সরকার ও নির্বাচন কোন নিরপেক্ষতা রাখছেন না। মহাজোট প্রার্থী আচরণবিধিকে তোয়াক্কাই করছেন না। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হচ্ছে। নতুন নতুন মামলা দেয়া হচ্ছে। প্রচারণায় অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না। দলীয় প্রিজাইটিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো কেন্দ্রে ইভিএমএ অবৈধভাবে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেগুলোর নাম আমরা দ্রুত প্রকাশ করবো। লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড বলতে এখানে কিছুই নেই। মানুষ শঙ্কায় আছে ভোট কি ৫ তারিখে হবে নাকি ৪ তারিখ রাতেই দেয়া শেষ হবে। এমন সব শঙ্কার মধ্যেও আমরা নির্বাচনে আছি। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের ফোকাস। তারাই দেখবেন এই ভোটের কি দশা হয়। তাদের মাধ্যমে জাতি তা জানতে পারবে। তবুও আমরা মনে করি ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দিয়ে রিটা রহমানকে জাতীয় সংসদে পাঠিয়ে সমগ্র দেশবাসীর ভোটাধিকার আদায়ের সংগ্রামকে বেগবান করবে।

সাবেক মন্ত্রী টুকু বলেন, ইভিএম একটি অ-বিশ্বস্ত, ত্রুটিপূর্ণ, অনির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি। যা বাংলাদেশ, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে মহাবিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তো এই প্রযুক্তি নিয়ে রীতিমত লঙ্কাকাণ্ড চলছে। দেশের মানুষ মনে করে ইভিএম কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা নির্বাচন কমিশনের কারচুপি করার ক্ষমতা ও সুযোগকে গোপনীয়তার সঙ্গে কেন্দ্রীভূত করে। সেকারণে বিএনপিসহ দেশের প্রতিটি বিরোধী দল ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও নির্বাচন কমিশন তা কর্ণপাত করেনি। এই উপ-নির্বাচনেও বিতর্কিত এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন। তারা ভোটের চিত্র যাই হোক না কেন ফলাফলের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাতে কুক্ষিগত রেখেছে।  সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এই গণবিরোধী চেহারা ও নির্বাচনে কারচুপির বিষয়টি দেশবাসীর কাছে দৃশ্যমান। তাদের প্রতিটি কারচুপির পদক্ষেপ জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। এবং তা প্রতিনিয়তই জন্ম দিচ্ছে গণবিক্ষোভের।  পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে নগরীতে শোডাউন ও গণসংযোগে অংশ নেন তিনি।