পদ ও উত্তরাধিকার ফিরে পেলেন জি এম কাদের

পদ ও উত্তরাধিকার ফিরে পেলেন জি এম কাদের

জি এম কাদের

আবার পদ ও উত্তরাধিকার ফিরে পেলেন জিএম কাদের। পার্টির চেয়ারম্যান ও বড় ভাই হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পার্টির কো-চেয়ারম্যানের পদ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন একদিন আগে। একদিন পর ফের উত্তরসুরি হিসেবে ভাই জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করেছেন।  জিএম কাদেরকে উত্তরসুরি, সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এরশাদ। 

হঠাৎ তাকে এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ায় আবারও আলোচনা। এ আলোচনা শেষ না হতেই আবার দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার ঘটনায় নানামুখি আলোচনা দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই। গত ২২শে মার্চ হঠাৎ করেই জিএম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। বলা হয় তিনি পার্টিতে বিভক্তি সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব এবং পার্টি পূর্নগঠন করতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

পার্টির

পরদিন ২৩শে মার্চ সংসদে বিরোধী দলের উপনেতার পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। স্থলাভিষিক্ত করা হয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদকে। আর এজন্য ব্যবহার করা হয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা। 

 গতকাল এক সাংগঠনিক নির্দেশনায় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থেকে অব্যহতির নির্দেশনা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন এরশাদ। 
এতে বলা হয়, গত ২২শে মার্চ তারিখে আমার স্বাক্ষরিত একটি সাংগঠিক নির্দেশ জারি করেছিলাম, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। উক্ত সাংগঠনিক নির্দেশ অত্র সাংগঠনিক নির্দেশ দ্বারা বাতিল ঘোষণা করছি। এরশাদ বলেন, আমি আবারও জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে আমার অবর্তমানে বা চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিদেশে থাকাকালে পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অত্র সাংগঠনিক নির্দেশ দ্বারা পূনর্বহাল করলাম।

পার্টির কো-চেয়ারম্যানের পদ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন একদিন আগে। একদিন পর ফের উত্তরসুরি হিসেবে ভাই জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জিএম কাদেরকে উত্তরসুরি, সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এরশাদ। 

হঠাৎ তাকে এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ায় আবারও আলোচনা। এ আলোচনা শেষ না হতেই আবার দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার ঘটনায় নানামুখি আলোচনা দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই। গত ২২শে মার্চ হঠাৎ করেই জিএম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। বলা হয় তিনি পার্টিতে বিভক্তি সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব এবং পার্টি পূর্নগঠন করতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

দলীয় নির্দেশনার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, মুষ্টিমেয় একটা গোষ্ঠী কাজ করছে। পাঁচ জন আমার পেছনে লেগেছে। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে। এদের কেউ কেউ সংসদে আছেন, কেউ বাইরে। তাদের কাছে রাজনীতি অনেকটা ব্যবসার মতো হয়ে গেছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ মিলিয়ে অনেক কারবার হয়েছে ক’ বছরে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দলের চেয়ারম্যানের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তারা ষড়যন্ত্র করছে। তারা যদি দলের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করতে চান, তবে এসব ছাড়ার জন্য তিনি সতর্ক করে দেন। না হলে দল থেকে চলে যেতে বলেন। 

জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এ বিষয়ে বলেন, জিএম কাদের চেয়ারম্যান হবেন, এটা আমিও চাই। তবে এই যে পরিবর্তন, সেটা সবার ভোটে হোক, তাহলে ওনার গ্রহণযোগ্যতা কর্মীদের মাঝে বাড়বে। তিনি মনে করেন, দলের পরিবর্তন ‘নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক’ পদ্ধতিতে হলে সেটা দলের জন্য ভালো হবে।