বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিবে রাজনীতি চলবে কি না: দীপু মনি

বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিবে রাজনীতি চলবে কি না: দীপু মনি

ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি চলবে কি না সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বুয়েটছাত্র আবরার চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রেক্ষাপটে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আবরারকে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগ ইতোমধ্যে ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে। হত্যামামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে নিজের নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনির মন্তব্য আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ দিয়ে চালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়।

“এক্ষেত্রে সাংগঠনিক রাজনীতি চলবে, না বন্ধ হবে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়।”

আবার হত্যাকাণ্ডে ‘অপরাজনীতি’, ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

তবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আবাসিক হলগুলোতে র‌্যাগিং, বুলিংয়ের অপসংস্কৃতি ছিল।

বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ‘অপসংস্কৃতি’ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।

“সেটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে বুয়েটের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের আগে থেকেই যদি একটু উদ্যোগ থাকত তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।”

শিক্ষাঙ্গনে হত্যাকাণ্ডের জন্য রাজনীতিকেই দায় চাপিয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের জন্য অনেক আগে থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে অনেক পক্ষ।

‘সকল ক্ষেত্রে রাজনীতিকে দোষ দিলে হবে না’ মন্তব্য করে দীপু মনি পাল্টা পশ্ন করেন, “রাজনীতি ছাড়া দেশ চলে?

“আপনি যা কিছু করবেন, তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই চলে। কিন্তু রাজনীতিটা যেন সুষ্ঠু হয়, সুস্থ ধারার হয়। রাজনীতিকে যেন কেউ ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কোনো অপকীর্তি করতে না পারে।”

এর জন্য রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সমাজের সবাইকে সচেতন হওয়ার এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল।

দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।